Ajker Patrika

পচা মিষ্টিতে তৈরি হচ্ছে শিশুদের প্রিয় সন্দেশ

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
মানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রস দিয়ে সন্দেশ তৈরির কারখানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রস দিয়ে সন্দেশ তৈরির কারখানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

উপজেলার নারচি রিকশাস্ট্যান্ডের পাশে এই সন্দেশ তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন মওলা মিয়া ও তাঁর ছেলে মনির হোসেন। গত কয়েক মাস আগে তাঁরা এখানে কারখানাটি চালু করেছেন। এর আগে কুস্তা গ্রামে তাঁদের কারখানা ছিল।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রিকশাস্ট্যান্ডের পাশে টিনের একটি লম্বা ছাপরা ঘর ভাড়া নিয়েছেন মওলা মিয়া। ছাপরার পেছনে গড়ে তোলা হয়েছে সন্দেশ ও টফি তৈরির কারখানা। ছাপরার ভেতর দিয়ে ছোট একটি গলি রয়েছে কারখানায় যাওয়ার জন্য। সেটিও আবার টিনের ঝাঁপ দিয়ে আটকানো থাকে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে ভেতরে কারখানা রয়েছে।

কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এক পাশে ছোট-বড় কয়েকটি ড্রামে রাখা হয়েছে পচা গাদ (রস)। কারখানা মালিক মওলা চুলায় রস জ্বাল দিচ্ছেন। পাশে এক শ্রমিক ড্রামে রাখা রস ছাঁকছেন, এক শ্রমিক সন্দেশ তৈরি করছেন এবং আরেকজন সেগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে প্যাকেট করছেন। পাশেই মিষ্টির রস রাখা ড্রামগুলো চেটে খাচ্ছিল একটি কুকুর।

মওলা বলেন, ‘কী করে খাব? শিখছি এই কাজ। পেট তো চালাতে হবে।’ তাঁদের তৈরি এই শিশুখাদ্য যে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এটা জেনেও কেন এমন ব্যবসা করছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নিউজ কইরেন না। পরে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করব।’

মওলার ছেলে মনির জানান, তিনি জেলার বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে পচা রস সংগ্রহ করেন। প্রতি কেজি রসের জন্য খরচ হয় ৩৫ টাকার মতো। এ সব সন্দেশ মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ফরিদপুর ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা এবং খুলনা এলাকায় সরবরাহ করা হয়। কুরিয়ারের মাধ্যমে সন্দেশগুলো পাঠানো হয়। লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

ছাপরা ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে রাখা হয়েছে সন্দেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছাপরা ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে রাখা হয়েছে সন্দেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এমন কোনো কারখানার সরকারি অনুমোদন নেই। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

ইউএনও আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল মারাত্মক অপরাধ। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত