Ajker Patrika

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে সেবা, প্রমাণ পেল দুদক

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা চিকিৎসাসেবার জন্য টাকা আদায়, বিনা মূল্যের খাবার বিতরণে নয়ছয়সহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।

দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের একটি দল হাসপাতালটিতে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রুনা বেগম নামের এক নারী দুদকের কাছে অভিযোগ করেন, হাতের ছোট একটি অস্ত্রোপচারের জন্য সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুম তাঁর কাছে ৮ হাজার টাকা দাবি করেন। সকালে তিনি টিকিট কেটে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমের কক্ষে যান। তখন তিনি এই টাকা দাবি করেন।

গিয়াসউদ্দিন হাওলাদার নামের এক যুবক দুদকের কাছে অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার তাঁর বাবা শাহ আলম হাওলাদারকে চিকিৎসাসেবা দিতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। টিকিট কেটে চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমের কক্ষে যান। এ সময় ওই চিকিৎসক ব্যথা দূর করার জন্য ইনজেকশন দিতে দেড় হাজার টাকা দাবি করেন। এরপর ১ হাজার ৩০০ টাকা দিলে তাঁকে হাসপাতালের সরকারি ইনজেকশন দেন আব্দুল কাইয়ুম।

অভিযোগকারীদের সঙ্গে নিয়ে দুদক টিম চিকিৎসক আব্দুল কাইয়ুমের কক্ষে গিয়ে টাকা চাওয়া ও টাকা নেওয়ার প্রমাণ পায়।

এরপর রান্নাঘরে গিয়ে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের প্রমাণ পায় দুদক। রোগীদের জন্য ৭৫ টাকা মূল্যের মিনিকেট চাল রান্না করার কথা থাকলেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা মূল্যের চাল রান্না করা হয়। এ ছাড়া ৫ টাকার টিকিট ১০ টাকা নেওয়ার প্রমাণ মেলে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ আদায়, খাবারে অনিয়ম, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনুসন্ধান চালিয়েছি। এ সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ আদায়, খাবারে অনিয়ম ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের প্রমাণ পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাব। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তিনি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদকের একটি দল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে। তারা বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত