নাঈমুল হাসান, টঙ্গী (গাজীপুর)
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (হাতি প্রতীক) হিসেবে লড়ছেন সরকার শাহ্নূর ইসলাম রনি। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা। বিএনপির অনুপস্থিতিতে তাদের ভোটগুলো পাওয়ার আশা করছেন তিনি। তবে বিএনপি বলছে, তিনি বিএনপির কেউ নন। এদিকে নির্বাচনের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ বলে আসছে, জাহাঙ্গীর আলমের ডামি প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন রনি।
আজ বুধবার সামগ্রিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহ্নূর ইসলাম রনি।
আজকের পত্রিকা: ভোটের পরিবেশ নিয়ে আপনার মন্তব্য।
রনি সরকার: আমার এজেন্টরা ভয়ে আছে। আমার সঙ্গে যারা ঘুরছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের বাসায় গিয়ে লোকজন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। মধ্যরাতে তাদের পরিবারের লোকজনদের ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কয়েকজনকে ভয় দেখিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সুষ্ঠু ভোট হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। ভোটের পরিবেশ এখন বিপরীতমুখী। নৌকার সমর্থকেরা তালিকা করে আমার লোকজনদের হয়রানি করছে। তবে ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে, আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
আজকের পত্রিকা: প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না?
রনি সরকার: প্রশাসনের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে দলীয়করণ থাকায় পুলিশ আমার কর্মী-সমর্থকদের নামের তালিকা করে খুঁজছে।
আজকের পত্রিকা: কোন কোন বিষয়গুলো নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে?
রনি সরকার: আমার কর্মীরা ভোটে কাজ করতে পারছে না। তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে আমার এজেন্টরা হাতি প্রতীকের ব্যাজও পরতে ভয় পাচ্ছে। এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে না থাকতে পারলে ভোটারদের ভোট অনিরাপদ হয়ে পড়তে পারে। প্রতিটি কেন্দ্রেই এজেন্ট দিয়েছি। তবে এজেন্ট না থাকাতে পারলে নির্বাচনে অনেক বড় একটি প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বেশির ভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়কে কীভাবে দেখছেন?
রনি সরকার: গাজীপুরের টঙ্গীতে আমার নিজ বাড়ি। গতকাল প্রচারণার শেষ দিনে আমি আমার নিজ ওয়ার্ডে (৫৫) প্রচারণা চালাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। এটি প্রমাণ করে ভোটকেন্দ্রের কী অবস্থা হতে পারে। নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করে নিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: ইভিএম নিয়ে কী ভাবছেন?
রনি সরকার: নির্বাচন কমিশনের প্রতি আজ পর্যন্ত আস্থা রাখতে পারছি। তবে সরকার (আওয়ামী লীগ) যদি মনে করে আমি ভোটের ফলাফল নিয়ে যাব, তবে অন্যবারের মতো নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ ও দলীয়করণের প্রমাণ দেবে। যা ইতিপূর্বে বড় রাজনৈতিক দলগুলো বলে আসছে।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি ঘরানার মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের কোনো সাড়া পাচ্ছেন?
রনি সরকার: আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান। যেহেতু বিএনপির নির্বাচনে যায়নি। আমি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি আশা করি, বিএনপির ভোটগুলো আমি পাব।
আজকের পত্রিকা: বিগত নির্বাচনের মতো এবারও কি টঙ্গী বনাম গাজীপুর রেশ থাকবে?
রনি সরকার: এবারের নির্বাচনে টঙ্গী বনাম গাজীপুরের রেশ বা পৃথক হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য আছে, যার প্রভাব সমগ্র নগরজুড়েই রয়েছে। এবারের নির্বাচনে আমি জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে তার প্রার্থীকে বেছে নেবে।
আজকের পত্রিকা: ফলাফল যা-ই হোক মেনে নেবেন?
রনি সরকার: অন্যবারের ভোটের ফলাফলে গরমিল করা হয়েছে। যদি সুষ্ঠু ভোট না হয় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ফলাফলের মতো হয় তাহলে মেনে নেব না।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (হাতি প্রতীক) হিসেবে লড়ছেন সরকার শাহ্নূর ইসলাম রনি। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের ভাতিজা। বিএনপির অনুপস্থিতিতে তাদের ভোটগুলো পাওয়ার আশা করছেন তিনি। তবে বিএনপি বলছে, তিনি বিএনপির কেউ নন। এদিকে নির্বাচনের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ বলে আসছে, জাহাঙ্গীর আলমের ডামি প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন রনি।
আজ বুধবার সামগ্রিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহ্নূর ইসলাম রনি।
আজকের পত্রিকা: ভোটের পরিবেশ নিয়ে আপনার মন্তব্য।
রনি সরকার: আমার এজেন্টরা ভয়ে আছে। আমার সঙ্গে যারা ঘুরছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের বাসায় গিয়ে লোকজন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। মধ্যরাতে তাদের পরিবারের লোকজনদের ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কয়েকজনকে ভয় দেখিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সুষ্ঠু ভোট হবে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। ভোটের পরিবেশ এখন বিপরীতমুখী। নৌকার সমর্থকেরা তালিকা করে আমার লোকজনদের হয়রানি করছে। তবে ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে, আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
আজকের পত্রিকা: প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না?
রনি সরকার: প্রশাসনের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে দলীয়করণ থাকায় পুলিশ আমার কর্মী-সমর্থকদের নামের তালিকা করে খুঁজছে।
আজকের পত্রিকা: কোন কোন বিষয়গুলো নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে?
রনি সরকার: আমার কর্মীরা ভোটে কাজ করতে পারছে না। তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে আমার এজেন্টরা হাতি প্রতীকের ব্যাজও পরতে ভয় পাচ্ছে। এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে না থাকতে পারলে ভোটারদের ভোট অনিরাপদ হয়ে পড়তে পারে। প্রতিটি কেন্দ্রেই এজেন্ট দিয়েছি। তবে এজেন্ট না থাকাতে পারলে নির্বাচনে অনেক বড় একটি প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বেশির ভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়কে কীভাবে দেখছেন?
রনি সরকার: গাজীপুরের টঙ্গীতে আমার নিজ বাড়ি। গতকাল প্রচারণার শেষ দিনে আমি আমার নিজ ওয়ার্ডে (৫৫) প্রচারণা চালাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। এটি প্রমাণ করে ভোটকেন্দ্রের কী অবস্থা হতে পারে। নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করে নিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: ইভিএম নিয়ে কী ভাবছেন?
রনি সরকার: নির্বাচন কমিশনের প্রতি আজ পর্যন্ত আস্থা রাখতে পারছি। তবে সরকার (আওয়ামী লীগ) যদি মনে করে আমি ভোটের ফলাফল নিয়ে যাব, তবে অন্যবারের মতো নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ ও দলীয়করণের প্রমাণ দেবে। যা ইতিপূর্বে বড় রাজনৈতিক দলগুলো বলে আসছে।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি ঘরানার মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের কোনো সাড়া পাচ্ছেন?
রনি সরকার: আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান। যেহেতু বিএনপির নির্বাচনে যায়নি। আমি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি আশা করি, বিএনপির ভোটগুলো আমি পাব।
আজকের পত্রিকা: বিগত নির্বাচনের মতো এবারও কি টঙ্গী বনাম গাজীপুর রেশ থাকবে?
রনি সরকার: এবারের নির্বাচনে টঙ্গী বনাম গাজীপুরের রেশ বা পৃথক হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য আছে, যার প্রভাব সমগ্র নগরজুড়েই রয়েছে। এবারের নির্বাচনে আমি জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে তার প্রার্থীকে বেছে নেবে।
আজকের পত্রিকা: ফলাফল যা-ই হোক মেনে নেবেন?
রনি সরকার: অন্যবারের ভোটের ফলাফলে গরমিল করা হয়েছে। যদি সুষ্ঠু ভোট না হয় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ফলাফলের মতো হয় তাহলে মেনে নেব না।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নাটোরে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র ঢুকে নির্দেশনা প্রদানকারী ছাত্রদল নেতা রাকিব সরদারকে বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রদল প্রচার সম্পাদক আসিফ ইকবাল।
৪ মিনিট আগেমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারকালে ৪৩০ বস্তা ইউরিয়া সার, ৬০০ বস্তা আলুসহ ১৩ পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
১৪ মিনিট আগেবরিশাল সিটি করপোরেশনের পলাতক সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতার দুটি স্টল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে করপোরেশনের হাটবাজার শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সিটি প্লাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ২০০ ও ২৪৯ নম্বর স্টল দুটি ১৫ লাখ টাকায় বিএনপির এক নেতার কাছে বিক্রি করিয়ে দেন হাটবাজার শাখার প্রধান নুরুল
২৫ মিনিট আগেমোল্লাহাটে চারটি বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ ১১ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মোল্লাহাট টোল প্লাজার সামনে একটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাঁদের আটক করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে