নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি দলে, প্রশাসনে, রাজনীতিতে, সমাজে—সব জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা আছে, এমনকি সংবিধানেও সাম্প্রদায়িকতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৈষম্য’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা এই সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আমরা এর পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাণা দাশগুপ্ত আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী কর্তৃক সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কোনোরূপ পরিবর্তন না আসায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি এবারের বাজেট বরাদ্দ সীমাহীন অবজ্ঞা, অবহেলা ও বৈষম্যের এক সুস্পষ্ট প্রমাণ। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় বরাদ্দ এবং উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ১৭৬.১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ ১৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। মোট বরাদ্দ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়, এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বাজেট থেকে বার্ষিক বরাদ্দ প্রদান করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসমূহকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঠিক শুমারির উদ্যোগ গ্রহণ, প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির/প্যাগোডা/গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, বিগত পাঁচ দশক ধরে বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে ৫ হাজার কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে থোক বরাদ্দ প্রদান, বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয় পে-স্কেলভুক্ত করা।
সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বৈষম্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আনুপাতিক বরাদ্দের মাধ্যমে এই বৈষম্যের অবসান হতে পারে। শুধু আমেরিকা, ভারতের পেছনে ঘুরলে হবে না, তারা যেভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করে, সেভাবে চর্চা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি দলে, প্রশাসনে, রাজনীতিতে, সমাজে—সব জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা আছে, এমনকি সংবিধানেও সাম্প্রদায়িকতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৈষম্য’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা এই সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আমরা এর পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাণা দাশগুপ্ত আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী কর্তৃক সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কোনোরূপ পরিবর্তন না আসায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি এবারের বাজেট বরাদ্দ সীমাহীন অবজ্ঞা, অবহেলা ও বৈষম্যের এক সুস্পষ্ট প্রমাণ। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় বরাদ্দ এবং উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ১৭৬.১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ ১৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। মোট বরাদ্দ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়, এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বাজেট থেকে বার্ষিক বরাদ্দ প্রদান করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসমূহকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঠিক শুমারির উদ্যোগ গ্রহণ, প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির/প্যাগোডা/গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, বিগত পাঁচ দশক ধরে বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে ৫ হাজার কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে থোক বরাদ্দ প্রদান, বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয় পে-স্কেলভুক্ত করা।
সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বৈষম্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আনুপাতিক বরাদ্দের মাধ্যমে এই বৈষম্যের অবসান হতে পারে। শুধু আমেরিকা, ভারতের পেছনে ঘুরলে হবে না, তারা যেভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করে, সেভাবে চর্চা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজন ছুরিকাহতসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
৬ মিনিট আগেজাটকা রক্ষায় দুই মাসের (মার্চ-এপ্রিল) অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী পাড়ের জেলেরা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে জেলেদের জাল ও নৌকার মেরামতকাজ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে পদ্মা–মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামে অপরিচিত ব্যক্তিদের ধাওয়া খেয়ে একটি মার্কেটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬৩)। পাশেই টহল দিচ্ছিল কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছে মিলল বিদেশ থেকে অবৈধভাবে
৩৫ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় দুই ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আজ বুধবার মান্দা থানায় মামলাটি করেন ছাত্রীর বাবা। মামলায় প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে