নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর আজিমপুরে ‘আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে’ গতকাল বুধবার ১১ মাসের শিশু উম্মে আলিফার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির বাবা হাকিবুল হাসান বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হেলাল উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আজ একটি মামলা করেছে। অবহেলাজনিত মৃত্যুর ধারায় মামলাটি করেছেন।’
মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে কেয়ার সেন্টারের অফিসার ইনচার্জ রেজিনা ওয়ালি (৫৯), সেন্টারের দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষক মোসা. কামরুন নাহার ওরফে মিমি (৪০), আয়া মো. আনিছ ফকির (৪৬), রাধুনি মো. আনিছ ফকির (৪৬), গার্ড মো. কমল হোসেন (৩২) ও ক্লিনার কাজী কামাল হোসেন (৩৫)।
মামলার এজাহারে হাকিবুল হাসান বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী দুইজনই চাকরীজীবী। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। ছেলে সন্তান আল আরাবি (২) এবং কন্যা সন্তান উম্মে আলিফা (১১ মাস)। আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকরি করার কারণে বাচ্চাদের দেখাশুনা করার জন্য ছেলে সন্তানকে পাঁচ মাস আগে এবং কন্যা সন্তানকে ২ মাস আগে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখি। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার সকাল ১০ টার দিকে আমার উভয় সন্তাকে উক্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষক মোসা. কামরুন নাহার ওরফে মিমি (৪০) ও আয়া মো. আনিছ ফকির (৪৬) এর কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আমরা (আমি ও আমার স্ত্রী) উভয়ে বাসায় চলে যাই।
পরে আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ইবনে সিনা হাসপাতালে যায়। হাসপাতাল থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় আসি। বাসায় আসার কিছুক্ষণ পর দুপুর ১ টার পর ডে কেয়ার অফিসার ইনচার্জ রেজিনা ওয়ালি (৫৯) আমাকে ফোনে জানান, আমার শিশু কন্যা উন্মে আলিফা অসুস্থ, তাকে মেটারনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আপনি হাসপাতালে আসেন। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত মেটারনিটি হাসপাতালে যাই এবং ২য় তলায় সিঁড়িতে আমার মেয়েকে নিয়ে নিচে নামার সময় দেখা হয়। মেয়ের কি হয়েছে তা জিজ্ঞাস করতেই তারা বাচ্চাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে অ্যাম্বুলেন্সে উঠে, আমিও তাদের সঙ্গে যাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, ডে কেয়ারের দায়িত্বরতদের কাছে আমার কন্যা সন্তানের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে, তাহারা আমাকে জানায়, আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে বাথরুমের থাকা পানি ভর্তি বালতির ভেতরে উপুড় হয়ে পড়ে গেলে সেখান থেকে বাচ্চাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ কথা বলে একপর্যায়ে উপরোক্ত আসামিরা আমাকে কোনো রকম সহযোগিতা না করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তখন লালবাগ থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। পুলিশ আমার মৃত শিশু কন্যার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আমি আমার মৃত কন্যার কপালের উপর মাথার বামপাশে ছোট রক্ত জমাট বাধা লালচে দাগ, বাম চোখের পাতার উপরে লালচে দাগ এবং দাঁতের উপরের পাটির সামনের মাড়িতে লালচে ক্ষত দাগ দেখতে পাই। আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে কেয়ার সেন্টারে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের খামখেয়ালি, সঠিকভাবে দেখাশুনা না করে অযত্ন ও অবহেলার কারণে আমার শিশু কন্যা হামাগুড়ি দিয়ে আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে বাথরুমের ভেতরে চলে যায়। সেখানে থাকা পানি ভর্তি বালতির ভিতরে উপুড় হয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু ঘটে।
রাজধানীর আজিমপুরে ‘আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে’ গতকাল বুধবার ১১ মাসের শিশু উম্মে আলিফার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটির বাবা হাকিবুল হাসান বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হেলাল উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আজ একটি মামলা করেছে। অবহেলাজনিত মৃত্যুর ধারায় মামলাটি করেছেন।’
মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে কেয়ার সেন্টারের অফিসার ইনচার্জ রেজিনা ওয়ালি (৫৯), সেন্টারের দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষক মোসা. কামরুন নাহার ওরফে মিমি (৪০), আয়া মো. আনিছ ফকির (৪৬), রাধুনি মো. আনিছ ফকির (৪৬), গার্ড মো. কমল হোসেন (৩২) ও ক্লিনার কাজী কামাল হোসেন (৩৫)।
মামলার এজাহারে হাকিবুল হাসান বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী দুইজনই চাকরীজীবী। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। ছেলে সন্তান আল আরাবি (২) এবং কন্যা সন্তান উম্মে আলিফা (১১ মাস)। আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকরি করার কারণে বাচ্চাদের দেখাশুনা করার জন্য ছেলে সন্তানকে পাঁচ মাস আগে এবং কন্যা সন্তানকে ২ মাস আগে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখি। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার সকাল ১০ টার দিকে আমার উভয় সন্তাকে উক্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষক মোসা. কামরুন নাহার ওরফে মিমি (৪০) ও আয়া মো. আনিছ ফকির (৪৬) এর কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আমরা (আমি ও আমার স্ত্রী) উভয়ে বাসায় চলে যাই।
পরে আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ইবনে সিনা হাসপাতালে যায়। হাসপাতাল থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় আসি। বাসায় আসার কিছুক্ষণ পর দুপুর ১ টার পর ডে কেয়ার অফিসার ইনচার্জ রেজিনা ওয়ালি (৫৯) আমাকে ফোনে জানান, আমার শিশু কন্যা উন্মে আলিফা অসুস্থ, তাকে মেটারনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আপনি হাসপাতালে আসেন। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত মেটারনিটি হাসপাতালে যাই এবং ২য় তলায় সিঁড়িতে আমার মেয়েকে নিয়ে নিচে নামার সময় দেখা হয়। মেয়ের কি হয়েছে তা জিজ্ঞাস করতেই তারা বাচ্চাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে অ্যাম্বুলেন্সে উঠে, আমিও তাদের সঙ্গে যাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, ডে কেয়ারের দায়িত্বরতদের কাছে আমার কন্যা সন্তানের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে, তাহারা আমাকে জানায়, আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে বাথরুমের থাকা পানি ভর্তি বালতির ভেতরে উপুড় হয়ে পড়ে গেলে সেখান থেকে বাচ্চাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ কথা বলে একপর্যায়ে উপরোক্ত আসামিরা আমাকে কোনো রকম সহযোগিতা না করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তখন লালবাগ থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। পুলিশ আমার মৃত শিশু কন্যার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আমি আমার মৃত কন্যার কপালের উপর মাথার বামপাশে ছোট রক্ত জমাট বাধা লালচে দাগ, বাম চোখের পাতার উপরে লালচে দাগ এবং দাঁতের উপরের পাটির সামনের মাড়িতে লালচে ক্ষত দাগ দেখতে পাই। আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে কেয়ার সেন্টারে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের খামখেয়ালি, সঠিকভাবে দেখাশুনা না করে অযত্ন ও অবহেলার কারণে আমার শিশু কন্যা হামাগুড়ি দিয়ে আজিমপুর মধ্যবিত্ত ডে-কেয়ার সেন্টারে বাথরুমের ভেতরে চলে যায়। সেখানে থাকা পানি ভর্তি বালতির ভিতরে উপুড় হয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু ঘটে।
সরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৮ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
১১ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগে