শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিট হরাইজন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক এই মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন শত শত যাত্রী।
শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহেরারচালায় অবস্থিত কারখানাটির শ্রমিকেরা সকালে প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা হেঁটে এসে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শ্রমিক মনোয়ারা বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে, বেতনভাতা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। এটা কেমন? আমরা সকালে মূল ফটকে এসে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি করি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করেনি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে এসেছি।’
আরেক শ্রমিক সুমন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে কেন এখানে এসেছি, এগুলো তো কেউ জানতে চায় না। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য এসেছি। পুলিশ, সেনাবাহিনী তো শুধু মানুষের ভোগান্তির কথা বলে। কিন্তু আমাদের যে রক্ত পানি করা পাওনা টাকা দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ, এটা তো তারা বলে না। আপনি কি পাঁচ কিলোমিটার হাঁটবেন? আমরা কেন হেঁটে এলাম? কত নারী শ্রমিক এসেছে, তাদের কত কষ্ট হয়েছে। এগুলো কেউ বোঝে না। প্রশাসনের লোকজন এসেই বলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, সড়ক ছেড়ে দিতে হবে।’
শ্রমিক শাহরিয়ার হাসান জয় অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার কারখানার ৩০ শ্রমিককে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা হয়। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে গতকালই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুনরায় কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে করে শ্রমিকেরা বাসায় ফিরে যান। আজ বুধবার তাঁরা যথারীতি কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকে তালা ঝুলছে। পূর্ব নোটিশ ছাড়া শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছে।
শ্রমিক লামিয়া আক্তার বলেন, ‘সকালে কারখানায় কাজ করতে এসে দেখি প্রধান ফটক বন্ধ। ফটকের সামনে সাদা কাগজে লেখা অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ। বন্ধ করবে ভালো কথা, কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কেন? আমাদের এক মাসের বেতন বকেয়া। শ্রম আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র আমাদের ওপর অন্যায় করে। আমরা শ্রমিক বলে আমাদের জীবনের কোনো মূল্য নেই? আমাদের কষ্টের কথাগুলো সবার কানে পৌঁছায় না।’
একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক লিলি আক্তার বলেন, ‘যত অন্যায় সব আমাদের শ্রমিকদের সঙ্গে। কেন আমরা কি মানুষ না? আমরা তো আমাদের দুধের শিশু অনাদরে, অবহেলায় বাসায় ফেলে কাজ করতে আসি। রক্ত পানি করে মাস শেষে বেতনের অপেক্ষায় থাকি। আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে আমাদের মা, বাবা, অবুঝ সন্তানেরা। আমাদের ওপর এমন অন্যায় কেন?’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১৩ (১) লঙ্ঘনের (বেআইনি ধর্মঘট) অভিযোগে কারখানা কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে ওই ধারা অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেয়। পরে শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে মহাসড়ক অবরোধ করে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিয়েছি। বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। বেতন-ভাতার বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিট হরাইজন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক এই মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন শত শত যাত্রী।
শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহেরারচালায় অবস্থিত কারখানাটির শ্রমিকেরা সকালে প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা হেঁটে এসে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শ্রমিক মনোয়ারা বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে, বেতনভাতা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। এটা কেমন? আমরা সকালে মূল ফটকে এসে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি করি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করেনি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে এসেছি।’
আরেক শ্রমিক সুমন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে কেন এখানে এসেছি, এগুলো তো কেউ জানতে চায় না। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য এসেছি। পুলিশ, সেনাবাহিনী তো শুধু মানুষের ভোগান্তির কথা বলে। কিন্তু আমাদের যে রক্ত পানি করা পাওনা টাকা দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ, এটা তো তারা বলে না। আপনি কি পাঁচ কিলোমিটার হাঁটবেন? আমরা কেন হেঁটে এলাম? কত নারী শ্রমিক এসেছে, তাদের কত কষ্ট হয়েছে। এগুলো কেউ বোঝে না। প্রশাসনের লোকজন এসেই বলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, সড়ক ছেড়ে দিতে হবে।’
শ্রমিক শাহরিয়ার হাসান জয় অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার কারখানার ৩০ শ্রমিককে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা হয়। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে গতকালই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুনরায় কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে করে শ্রমিকেরা বাসায় ফিরে যান। আজ বুধবার তাঁরা যথারীতি কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকে তালা ঝুলছে। পূর্ব নোটিশ ছাড়া শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছে।
শ্রমিক লামিয়া আক্তার বলেন, ‘সকালে কারখানায় কাজ করতে এসে দেখি প্রধান ফটক বন্ধ। ফটকের সামনে সাদা কাগজে লেখা অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ। বন্ধ করবে ভালো কথা, কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কেন? আমাদের এক মাসের বেতন বকেয়া। শ্রম আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র আমাদের ওপর অন্যায় করে। আমরা শ্রমিক বলে আমাদের জীবনের কোনো মূল্য নেই? আমাদের কষ্টের কথাগুলো সবার কানে পৌঁছায় না।’
একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক লিলি আক্তার বলেন, ‘যত অন্যায় সব আমাদের শ্রমিকদের সঙ্গে। কেন আমরা কি মানুষ না? আমরা তো আমাদের দুধের শিশু অনাদরে, অবহেলায় বাসায় ফেলে কাজ করতে আসি। রক্ত পানি করে মাস শেষে বেতনের অপেক্ষায় থাকি। আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে আমাদের মা, বাবা, অবুঝ সন্তানেরা। আমাদের ওপর এমন অন্যায় কেন?’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১৩ (১) লঙ্ঘনের (বেআইনি ধর্মঘট) অভিযোগে কারখানা কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে ওই ধারা অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেয়। পরে শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে মহাসড়ক অবরোধ করে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিয়েছি। বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। বেতন-ভাতার বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
’যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় গত ২০ জুন ৩ সেন্টিমিটার, ২১ জুন ৮ সেন্টিমিটার ও ২২ জুন ১৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। একই সময় কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গত তিন দিনে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ২৯৭ সেন্টিমিটার ও কাজী
১২ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
২৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার কুশখালী ও কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
৩০ মিনিট আগেতামিম রাতে ইটেরপুল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তামিমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তামিমকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
১ ঘণ্টা আগে