Ajker Patrika

সুপ্রিম কোর্টে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের জানাজা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ১৬: ১১
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক।

জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ সহস্রাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিবাদী ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। যে কারণে বিগত সরকারের আমলে তাঁকে রোষানলে পড়তে হয়েছিল। রাজনৈতিক কারণে তিনি প্রবাসে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর থেকে জানার অনেক কিছু ছিল। তাঁর মৃত্যু আইন জগতে অনেক শূন্যতা সৃষ্টি করবে।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে জাতি তাঁর আইনি সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি ছিলেন আইনের দিকপাল।

এর আগে গতকাল রোববার রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল এশার নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ অর্ধদিবস বন্ধ রয়েছে। আজ আপিল বিভাগের বিচারকাজ বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে। আর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলবে।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছিলেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১১ বছর দেশের বাইরে ছিলেন তিনি। গত ৬ জানুয়ারি তাঁর জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। এরপর আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। তবে গত বছরের ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৪৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সা‌লে তি‌নি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন ক‌রেন। ১৯৮৫ সা‌ল পর্যন্ত লন্ড‌নেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছি‌লেন তিনি। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হন।

ব্যারিস্টার রাজ্জাক দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গিয়েছেন। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দীক ও ইমরান আব্দুল্লাহ সিদ্দীক সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা পরিচালনা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

রোগী দেখতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট, অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে নিখোঁজ, ভোরে কালভার্টের নিচে মিলল নারীর লাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইচ্ছেমতো’ ব্যয়, দুই বছরে রাষ্ট্রের ক্ষতি ৩৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত