সম্পাদকীয়
গাজীপুরের শ্রীপুরে যখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল, তখন চলছিল মহাসড়কে পিচ ঢালাইয়ের কাজ! শ্রমিকেরা মহাসড়কের খানাখন্দে নির্মাণসামগ্রী ফেলছিলেন, সেগুলো রোলার দিয়ে পেষা হচ্ছিল। আর জলাবদ্ধ সে জায়গায় চলছিল পিচ ঢালাইয়ের কাজ। বাহবা দিতে হয় এই কর্মবীরদের। তাঁদের এই পরিশ্রম একেবারেই পানিতে যাবে জেনেও যে তাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে এই ‘অকাজ’ করে যাচ্ছিলেন, তাতে প্রশংসা তো করতেই হয়।
একেই বলে ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল’। দরিয়া খুঁজে না পেয়ে তাঁরা বৃষ্টির পানি পেয়েছেন, সেখানেই ঢালছেন ‘সরকার কা মাল’।
এই ছোট সমস্যা নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কি ভাববেন? তিনি কি জানেন না যে বৃষ্টির পানিতে সড়ক উন্নয়নের কাজ পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে? দুদিন পরই বেরিয়ে আসবে খানাখন্দ? রাস্তার কঙ্কাল আবার মাংসশূন্য দাঁত বের করে হাসবে?
সরকারি কাজ এ রকমভাবেই হয়ে আসছে। সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঠিকাদার কর্তৃক প্রাক্কলিত অর্থ আদায় করে নেওয়ার পর উন্নয়নের কাজগুলো দেখলেই তো বোঝা যায়, কীভাবে সে টাকা পকেটে ভরা হয়েছে! সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই কাজটিও ওইসব উন্নয়ন প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ভাবলে কি মিথ্যে ভাবা হবে?
দেশের বিভিন্ন বড় বড় সমস্যার মধ্যে এটা নিতান্তই একটি ছোট সমস্যা। তাই এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। হঠাৎ করে ঢাকা থেকে একদল তরুণ নিশ্চয় শ্রীপুরে গিয়ে এর জবাবদিহি চাইবে না। অপকর্ম বন্ধ করার চেষ্টা করবে না। এটা যে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, সে কথাও বলবে না। বরং তাদের অনেকে এখনো অপেক্ষা করে আছে, কীভাবে ‘আওয়ামী দোসর’দের শায়েস্তা করতে হবে। অথচ স্থানীয় তরুণেরাও যদি এই অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত, সরকারি টাকার এ রকম অপচয়ে বাধা দিত, তাহলেও কাজের কাজ হতো। কিন্তু তারা কি এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভাববে?
ঈদের আগেই সড়কের কাজগুলো করে ফেলতে হবে—এ রকম নির্দেশ নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু যখন ঝকঝকে রোদ্দুর ছিল, সে সময় কেন রাস্তার কাজ করা হলো না? সে সময় কেন কুম্ভকর্ণের ঘুম দিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ? বৃষ্টি শুরু হতেই কেন তা কর্মে ব্রতী হলো—এর উত্তর কে দেবে?
রাষ্ট্রের সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তা শুরু করতে হয় একেবারে শুরু থেকেই। বড় বড় কমিটি করে বড় বড় সংস্কার করার আগে ছোট পরিসরে যে অরাজকতা আছে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হয়। কারণ, মূলত সেগুলোই একটি দেশ বেঁচে থাকার ‘লাইফ লাইন’। সেটা অগ্রাহ্য করা হলে ওপরে ওপরে অনেক পরিবর্তন হয়তো আসবে, কিন্তু তা হবে বাইরের পরিবর্তন। ভেতরটা সেই রদ্দিমাল হিসেবেই টিকে থাকবে। গাজীপুরে বৃষ্টির মধ্যে পিচ ঢালাই বুঝিয়ে দিল, আমরা আদতেই আসল কাজের দিকে হাত দিইনি। ব্যস্ত আছি ক্ষমতার রাজনীতি নিয়েই।
গাজীপুরের শ্রীপুরে যখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল, তখন চলছিল মহাসড়কে পিচ ঢালাইয়ের কাজ! শ্রমিকেরা মহাসড়কের খানাখন্দে নির্মাণসামগ্রী ফেলছিলেন, সেগুলো রোলার দিয়ে পেষা হচ্ছিল। আর জলাবদ্ধ সে জায়গায় চলছিল পিচ ঢালাইয়ের কাজ। বাহবা দিতে হয় এই কর্মবীরদের। তাঁদের এই পরিশ্রম একেবারেই পানিতে যাবে জেনেও যে তাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে এই ‘অকাজ’ করে যাচ্ছিলেন, তাতে প্রশংসা তো করতেই হয়।
একেই বলে ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল’। দরিয়া খুঁজে না পেয়ে তাঁরা বৃষ্টির পানি পেয়েছেন, সেখানেই ঢালছেন ‘সরকার কা মাল’।
এই ছোট সমস্যা নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কি ভাববেন? তিনি কি জানেন না যে বৃষ্টির পানিতে সড়ক উন্নয়নের কাজ পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে? দুদিন পরই বেরিয়ে আসবে খানাখন্দ? রাস্তার কঙ্কাল আবার মাংসশূন্য দাঁত বের করে হাসবে?
সরকারি কাজ এ রকমভাবেই হয়ে আসছে। সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঠিকাদার কর্তৃক প্রাক্কলিত অর্থ আদায় করে নেওয়ার পর উন্নয়নের কাজগুলো দেখলেই তো বোঝা যায়, কীভাবে সে টাকা পকেটে ভরা হয়েছে! সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই কাজটিও ওইসব উন্নয়ন প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ভাবলে কি মিথ্যে ভাবা হবে?
দেশের বিভিন্ন বড় বড় সমস্যার মধ্যে এটা নিতান্তই একটি ছোট সমস্যা। তাই এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। হঠাৎ করে ঢাকা থেকে একদল তরুণ নিশ্চয় শ্রীপুরে গিয়ে এর জবাবদিহি চাইবে না। অপকর্ম বন্ধ করার চেষ্টা করবে না। এটা যে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, সে কথাও বলবে না। বরং তাদের অনেকে এখনো অপেক্ষা করে আছে, কীভাবে ‘আওয়ামী দোসর’দের শায়েস্তা করতে হবে। অথচ স্থানীয় তরুণেরাও যদি এই অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত, সরকারি টাকার এ রকম অপচয়ে বাধা দিত, তাহলেও কাজের কাজ হতো। কিন্তু তারা কি এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভাববে?
ঈদের আগেই সড়কের কাজগুলো করে ফেলতে হবে—এ রকম নির্দেশ নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু যখন ঝকঝকে রোদ্দুর ছিল, সে সময় কেন রাস্তার কাজ করা হলো না? সে সময় কেন কুম্ভকর্ণের ঘুম দিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ? বৃষ্টি শুরু হতেই কেন তা কর্মে ব্রতী হলো—এর উত্তর কে দেবে?
রাষ্ট্রের সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তা শুরু করতে হয় একেবারে শুরু থেকেই। বড় বড় কমিটি করে বড় বড় সংস্কার করার আগে ছোট পরিসরে যে অরাজকতা আছে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হয়। কারণ, মূলত সেগুলোই একটি দেশ বেঁচে থাকার ‘লাইফ লাইন’। সেটা অগ্রাহ্য করা হলে ওপরে ওপরে অনেক পরিবর্তন হয়তো আসবে, কিন্তু তা হবে বাইরের পরিবর্তন। ভেতরটা সেই রদ্দিমাল হিসেবেই টিকে থাকবে। গাজীপুরে বৃষ্টির মধ্যে পিচ ঢালাই বুঝিয়ে দিল, আমরা আদতেই আসল কাজের দিকে হাত দিইনি। ব্যস্ত আছি ক্ষমতার রাজনীতি নিয়েই।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে