Ajker Patrika

স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় রাজিয়াকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুন ২০২২, ১৮: ৪৩
স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় রাজিয়াকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় স্বামী মিজানুর রহমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার সাবেক কালিকাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত নারীর নাম রাজিয়া (৩০)। তিনি মাদারীপুর সাবেক কালিকাপুর এলাকার ফোরকান হাওলাদারের মেয়ে। 

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার আব্দুল আলিম ফকিরের ছেলে। 

ভুক্তভোগীর স্বজনেরা জানান, সাত মাসে আগে প্রেমের সম্পর্কে আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন রাজিয়া ও মিজানুর। বিয়ের পরে রাজিয়া জানতে পারেন মিজানুরের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরে রাজিয়া স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে মিজানুর টালবাহানা শুরু করেন। এ সময় মিজানুরের প্রথম স্ত্রী লাইজু বেগম রাজিয়াকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেন। 

এরই জেরে গতকাল রাতে মাদারীপুর শহর থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে রাজিয়া তাঁর মা পারুল বেগমকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় কালিকাপুর এলাকায় এলে তাঁদের ইজিবাইকের পথরোধ করেন মিজানুর ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লাইজু বেগম। পরে রাজিয়াকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেন। এতে রাজিয়া রক্তাক্ত জখম হন। ঘটনার সময় রাজিয়া ও তাঁর মায়ের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মিজানুর ও লাইজু বেগম পালিয়ে যান। পরে আহতাবস্থায় রাজিয়াকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

এ বিষয়ে আহত রাজিয়া বলেন, ‘আগে বিয়ে করার কথা গোপন করে মিজানুর রহমান আমাকে বিয়ে করেছেন। পরে বিষয়টি আমি জানতে পারলে স্ত্রীর মর্যাদা চাই। এ নিয়ে আমার স্বামী মিজানুর ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লাইজু আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (ছেন) দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। আমি এর বিচার চাই।’ 

ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত