রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় নিয়োগ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামাল আহমেদ মোল্লার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার চার মাসেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, কর্মজটের কারণে তদন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পৌর মেয়র জামাল আহমেদ মোল্লা স্বাক্ষরিত ৮টি শূন্য পদে স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার অধীনে লোকবল চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর মেয়র জামাল মোল্লা ৮টি শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও অনিয়মের মাধ্যমে আটজনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও মেয়রকে সহায়তা করেন।
এ ছাড়া পৌরসভায় কর্মচারীদের পিএফ/জিপিএফ তহবিলের টাকা চার-পাঁচ বছর ধরে আটকে রাখারও অভিযোগ রয়েছে জামাল মোল্লার বিরুদ্ধে।
একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। প্রতিটি পদের জন্য ১০-১৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। সহকারী কর নির্ধারক পদে চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মাহমুদুল হাসান অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মামুনুর রহমান গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ, নরসিংদীর উপপরিচালককে এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কিন্তু এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শুরুই করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এতে পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তাঁরা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সহকারী কর নির্ধারক পদে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অভিযোগকারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় ভালো করেছিলাম, কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় গিয়ে জানতে পারি, আগেই নিয়োগপ্রাপ্তদের ঠিক করা হয়েছে। আমাকে স্পষ্ট বলা হয়, আমার পদের জন্য মেয়রের আত্মীয় নির্ধারিত রয়েছেন, তাই আমার সুযোগ নেই।’
তবে নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তাঁরা অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা সম্প্রতি বলেন, ‘বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র জামাল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ দিকে সর্বশেষ জানা গেছে, গত সোমবার রায়পুরা পৌর কার্যালয়ে আসেন তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদীর স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মৌসুমী সরকার রাখী। তিনি বলেন, কর্ম জটের কারণে তদন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।
নরসিংদীর রায়পুরায় নিয়োগ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামাল আহমেদ মোল্লার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার চার মাসেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, কর্মজটের কারণে তদন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পৌর মেয়র জামাল আহমেদ মোল্লা স্বাক্ষরিত ৮টি শূন্য পদে স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার অধীনে লোকবল চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু পৌর মেয়র জামাল মোল্লা ৮টি শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও অনিয়মের মাধ্যমে আটজনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও মেয়রকে সহায়তা করেন।
এ ছাড়া পৌরসভায় কর্মচারীদের পিএফ/জিপিএফ তহবিলের টাকা চার-পাঁচ বছর ধরে আটকে রাখারও অভিযোগ রয়েছে জামাল মোল্লার বিরুদ্ধে।
একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। প্রতিটি পদের জন্য ১০-১৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। সহকারী কর নির্ধারক পদে চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মাহমুদুল হাসান অবৈধ নিয়োগ বাতিল চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মামুনুর রহমান গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ, নরসিংদীর উপপরিচালককে এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কিন্তু এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শুরুই করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এতে পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তাঁরা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সহকারী কর নির্ধারক পদে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অভিযোগকারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় ভালো করেছিলাম, কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় গিয়ে জানতে পারি, আগেই নিয়োগপ্রাপ্তদের ঠিক করা হয়েছে। আমাকে স্পষ্ট বলা হয়, আমার পদের জন্য মেয়রের আত্মীয় নির্ধারিত রয়েছেন, তাই আমার সুযোগ নেই।’
তবে নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তাঁরা অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা সম্প্রতি বলেন, ‘বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র জামাল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ দিকে সর্বশেষ জানা গেছে, গত সোমবার রায়পুরা পৌর কার্যালয়ে আসেন তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদীর স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মৌসুমী সরকার রাখী। তিনি বলেন, কর্ম জটের কারণে তদন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগে