Ajker Patrika

পাশাপাশি দাফন হলো বাবা-ছেলে ও খালুর লাশ 

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৩৪
পাশাপাশি দাফন হলো বাবা-ছেলে ও খালুর লাশ 

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় পদ্মার শাখা নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে বাবা, ছেলেসহ তিনজনের লাশ পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁদের দাফন করা হয়। 

আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রিয়াদ আহমেদ রাজুর শ্যালক তুষার।

গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের সরিশাবন এলাকার পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে নেমেছিলেন ৩০-৩৫ জন। হাঁটুপানিতেই গোসল করছিলেন তাঁরা। হঠাৎ করে এক শিশু পা পিছলে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে যান সাতজন। পা পিছলে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার করে চারজন ফিরে এলেও নিখোঁজ হন বাবা, ছেলেসহ তিনজন। নিখোঁজের পর তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সদস্যরা। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকায় রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫), তাঁর ছেলে রামিন আরিছ (১৬) ও ভায়রা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জুয়েল (৪০)। 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে কর্মকর্তা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামের হারুন রশিদ মোল্লার একমাত্র ছেলে। রিয়াদ আহমেদ রাজুদের দীঘিরপাড় গ্রামের বাড়ি প্রায় দুই যুগ আগে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোড এলাকার বাস করে আসছিলেন। 

এ বছর হজ করতে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল রাজুর। সে জন্য চাচার সঙ্গে দেখা করতে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামের ইকবাল হোসেনের বাড়িতে এসেছিলেন তিনিসহ তাঁর পরিবার। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনিসহ তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ৩০-৩৫ জন চাচার বাড়িতে এসে পৌঁছান। পদ্মা নদীতে ঘোরা শেষে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা ফেরার কথা ছিল তাদের। 

আত্মীয়দের সঙ্গে রেলওয়ে কর্মকর্তা রিয়াদ আহমেদ রাজুর স্ত্রী, তিন ছেলে ও তাঁর ভায়রা ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল রানা ও তাঁর স্ত্রী দুই ছেলেসহ মোট ৩০-৩৫ জন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর চাচার বাড়ি থেকে বের হন। পরে তাঁরা দীঘিরপাড় এলাকার পদ্মা নদী ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ভাড়া নিয়ে প্রথমে হাসাইল বাজার এলাকায় যান। পরে হাসাইল থেকে ফিরে উপজেলার ধানকোড়া এলাকার পদ্মা নদীর চরে নামেন। পদ্মার চরে নেমে তাঁরা পাশের নদীতে তিনজন ছাড়া বাকি সবাই গোসল করতে নামেন। 

এ সময় অল্প পানিতেই তারা গোসল করছিলেন। হঠাৎ এক শিশু পদ্মা নদীতে পিছলে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে যান সাতজন। এদের মধ্যে ওই শিশুকে উদ্ধার করে চারজন ফিরে এলেও নিখোঁজ হন রিয়াদ আহমেদ রাজু, তাঁর ছেলে রামিন আরিছ ও তাঁর ভায়রা মাহমুদুর রহমান জুয়েল। 

পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর রামিন আরিছের মরদেহ উদ্ধার করা হয় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। দুই ভায়রার মরদেহ শুক্রবার রাতেই ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর আরিছের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায় শনিবার দুপুরে। 

এ ব্যাপারে নিহত রাজুর শ্যালক তুষার বলেন, জানাজা শেষে তাঁদের শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত