Ajker Patrika

প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হেলেনা জাহাঙ্গীর কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫: ২৯
প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হেলেনা জাহাঙ্গীর কারাগারে

রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সকালে আত্মসমর্পণ করে আপিল করার শর্তে জামিনের আবেদন করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুল ইসলাম হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২০ মার্চ হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে এই প্রতারণার মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেন একই আদালত। পাশাপাশি ২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে আরও দুই মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়।

হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রার মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও নিজস্ব প্রতিবেদক মাহফুজুর রহমান। হেলেনা জাহাঙ্গীর রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে পলাতক থাকার পর হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জয়যাত্রা টিভির ভোলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন ২০২১ সালের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে তুহিন কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তাঁর কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ, হরিণের চামড়া, ওয়াকিটকি, বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে গুলশান ও পল্লবী থানায় আরও পাঁচটি আলাদা মামলা করা হয়। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে গত বছরের নভেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত