নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা থামছেই না। বাসে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে মহাসড়কের সাভার অংশে পুলিশের একাধিক তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশের এই তৎপরতার মধ্যে আজ শুক্রবার দুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংক টাউন এলাকায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সাভার পরিবহনের বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৩-০৭০৬) এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।
সাভারের স্থানীয় সাংবাদিক তায়েফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য আমার স্ত্রীকে নিয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে সাভারের ব্যাংক টাউন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী সাভার পরিবহনের একটি বাসে উঠি। বাসটি কয়েক শ গজ যাওয়ার পর ব্যাংক টাউন সেতুতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবেশী চার ছিনতাইকারী হঠাৎ ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে যায়। তারা চালককে বাস থামাতে বলে। তাদের কথামতো চালক সেতুর ওপরে বাস থামিয়ে দেন। এরপর ছিনতাইকারীরা ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে কয়েকজন নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে সেতুর ওপর নেমে যায়।’
তাইফুর রহমান আরও বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীর গলার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। যার ওজন প্রায় দেড় ভরি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মনে হয়েছে, ছিনতাইকারীদের সঙ্গে বাসের চালক ও সহকারীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবং তারা পূর্বপরিচিত।’
বিল্লাল হোসেন নামের অপর এক যাত্রী বলেন, ঘটনার পর চালক বাসটি দ্রুতগতিতে চালিয়ে ঢাকার গাবতলীতে থামিয়ে দেন। এরপর যাত্রীদের কয়েকজন বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করে সেখানকার একটি বাস কাউন্টারে নিয়ে যান।
এর আগে ৫ এপ্রিল বিকেলে একই এলাকায় (ব্যাংক টাউন) ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস থেকে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্য মালপত্র লুটে নেয়। এ ছাড়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ব্যাংক টাউনের অদূরে পুলিশ টাউন এলাকার সেতুর কাছে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এদিকে গত ২ মার্চ বেলা ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিন মাসে চলন্ত বাসে অন্তত পাঁচটি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটল।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও বাসের কয়েকজন চালক বলেন, এভাবে প্রায় দিনই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার অংশে চলন্ত বাসে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারী ও ডাকাতেরা যাত্রীবেশে বাসে উঠে দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মাল লুটে নিচ্ছে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অনেকে থানায় মামলা করছেন। অনেকে আবার ঝামেলা এড়ানোর জন্য থানা-পুলিশ থেকে বিরত থাকছেন।
তাঁরা জানান, যেসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে, সেসব ঘটনাই কেবল প্রকাশ্যে আসছে। আর যেসব বাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, এর প্রায় সবই গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ও ঢাকার মধ্যে চলাচল করে।
যোগাযোগ করা হলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে সম্প্রতি মহাসড়কের সাভার অংশে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। পুলিশ ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লোকাল বাসগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এর মধ্যে এ রকম ঘটনা ঘটার কথা নয়। তারপরও আজ বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা থামছেই না। বাসে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে মহাসড়কের সাভার অংশে পুলিশের একাধিক তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশের এই তৎপরতার মধ্যে আজ শুক্রবার দুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংক টাউন এলাকায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সাভার পরিবহনের বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৩-০৭০৬) এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।
সাভারের স্থানীয় সাংবাদিক তায়েফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য আমার স্ত্রীকে নিয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে সাভারের ব্যাংক টাউন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী সাভার পরিবহনের একটি বাসে উঠি। বাসটি কয়েক শ গজ যাওয়ার পর ব্যাংক টাউন সেতুতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবেশী চার ছিনতাইকারী হঠাৎ ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে যায়। তারা চালককে বাস থামাতে বলে। তাদের কথামতো চালক সেতুর ওপরে বাস থামিয়ে দেন। এরপর ছিনতাইকারীরা ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে কয়েকজন নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে সেতুর ওপর নেমে যায়।’
তাইফুর রহমান আরও বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীর গলার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। যার ওজন প্রায় দেড় ভরি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মনে হয়েছে, ছিনতাইকারীদের সঙ্গে বাসের চালক ও সহকারীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবং তারা পূর্বপরিচিত।’
বিল্লাল হোসেন নামের অপর এক যাত্রী বলেন, ঘটনার পর চালক বাসটি দ্রুতগতিতে চালিয়ে ঢাকার গাবতলীতে থামিয়ে দেন। এরপর যাত্রীদের কয়েকজন বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করে সেখানকার একটি বাস কাউন্টারে নিয়ে যান।
এর আগে ৫ এপ্রিল বিকেলে একই এলাকায় (ব্যাংক টাউন) ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস থেকে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্য মালপত্র লুটে নেয়। এ ছাড়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ব্যাংক টাউনের অদূরে পুলিশ টাউন এলাকার সেতুর কাছে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এদিকে গত ২ মার্চ বেলা ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভার পৌর এলাকার রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিন মাসে চলন্ত বাসে অন্তত পাঁচটি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটল।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও বাসের কয়েকজন চালক বলেন, এভাবে প্রায় দিনই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার অংশে চলন্ত বাসে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারী ও ডাকাতেরা যাত্রীবেশে বাসে উঠে দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মাল লুটে নিচ্ছে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অনেকে থানায় মামলা করছেন। অনেকে আবার ঝামেলা এড়ানোর জন্য থানা-পুলিশ থেকে বিরত থাকছেন।
তাঁরা জানান, যেসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে, সেসব ঘটনাই কেবল প্রকাশ্যে আসছে। আর যেসব বাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, এর প্রায় সবই গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ও ঢাকার মধ্যে চলাচল করে।
যোগাযোগ করা হলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে সম্প্রতি মহাসড়কের সাভার অংশে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। পুলিশ ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লোকাল বাসগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এর মধ্যে এ রকম ঘটনা ঘটার কথা নয়। তারপরও আজ বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৬ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১৭ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
২১ মিনিট আগে