নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০১৫ সালে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার দায়ে দুই আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—কোভিদ হোসেন ও আরমান ওরফে মনির। আরমানকে ১০ বছর এবং কবিরকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে। এ ছাড়া আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
রায়ে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন-ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ও আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন।
গত ১ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ওই দিনই রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। চার্জগঠনের পর ওই আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন। এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। ট্রাইব্যুনাল ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানা শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা-পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে চার্জশিট দেন। আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলা তদন্তে তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি:
এই মামলায় বেশির ভাগ আসামি খালাস পেয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শফি উদ্দিন শেখ মামলাটি তদন্ত করে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী নির্দেশদাতা সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি। আবার কয়েকজন আসামিকে কেন এই মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা অভিযোগপত্রে নেই। কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই এই মামলার আসামি চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ ও শাহজালালকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা মারাত্মক ভুল করেছেন এবং চরমভাবে দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও প্রকৃত হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
২০১৫ সালে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার দায়ে দুই আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—কোভিদ হোসেন ও আরমান ওরফে মনির। আরমানকে ১০ বছর এবং কবিরকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে। এ ছাড়া আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
রায়ে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন-ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ও আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন।
গত ১ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ওই দিনই রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। চার্জগঠনের পর ওই আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন। এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। ট্রাইব্যুনাল ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানা শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা-পুলিশ তদন্ত করে। পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে চার্জশিট দেন। আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলা তদন্তে তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি:
এই মামলায় বেশির ভাগ আসামি খালাস পেয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শফি উদ্দিন শেখ মামলাটি তদন্ত করে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী নির্দেশদাতা সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি। আবার কয়েকজন আসামিকে কেন এই মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা অভিযোগপত্রে নেই। কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই এই মামলার আসামি চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ ও শাহজালালকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা মারাত্মক ভুল করেছেন এবং চরমভাবে দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও প্রকৃত হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৫ জন ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মনোনয়নপত্র বিতরণের কার্যক্রম শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
৭ মিনিট আগেঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টরদের পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
৯ মিনিট আগেরাজধানীর আদাবরে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং নবদিগন্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সড়কে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ মিনিট আগেফেনী পুলিশ লাইনসে সহকর্মীর বঁটির কোপে মো. রহমত আলী (৫৪) নামের বিশেষ আনসারের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আনসার সদস্য আলী মনোয়ার হোসেনকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ লাইনসের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগে