বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
কালজয়ী উপন্যাস বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের জন্মদিন ১৩ নভেম্বর। বাংলা সাহিত্যের এই লেখকের ১৭৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য বাংলা একাডেমিসহ সংশ্লিষ্টদের নেই উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতি। অনেকটা নীরবেই পার হতে চলেছে মীর মশাররফের জন্মবার্ষিকী। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতে সেভাবে কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।
বাংলা একাডেমি থেকে জানা গেছে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি মীর মশাররফের সমাধিস্থলে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া বাংলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মহাপরিচালকসহ একাডেমির বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। তবে, দেশের চলমান অবস্থার কারণে সমাধিস্থলে তেমন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।
এদিকে বাংলা একাডেমির নেওয়া পদক্ষেপে ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় সুধীসমাজ। তারা বলছে, মীর মশাররফ সম্পর্কে জানতে ও জানাতে বাংলা একাডেমি নয়, বরং বালিয়াকান্দির পদমদীর মতো অজপাড়া গায়ে আলোচনা হওয়া উচিত। বাংলা একাডেমিতে আলোচনা করে সেসব বিষয় মানুষের মধ্যে প্রচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সমাধিস্থলে আলোচনা হলে সাধারণ মানুষ এই সাহিত্যিক সম্পর্কে অনেক ধারণা পেতেন।
সরেজমিন মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিস্থলে গিয়ে জানা গেছে, সমাধিস্থল ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ২০০১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেই সময়ের ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন কমপ্লেক্সের দেয়ালে ধরেছে ছত্রাক। চারপাশ জমেছে ময়লা। জন্মদিন এলেই পরিষ্কারের তোড়জোড় লক্ষ করা যায় সেখানে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সমাধিস্থল প্রায় সারা বছরই পর্যটকশূন্য থাকে। এখানে যথেষ্ট অবকাঠামো থাকলেও বছরজুড়েই জরাজীর্ণ অবস্থায় দেখা যায় কমপ্লেক্সটিকে। দর্শনার্থী বাড়াতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না কর্তৃপক্ষকে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা চৌধুরী রফিকুন নবী টিটো বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন রাজবাড়ী জেলার গর্ব। তাঁর জন্মদিনটি প্রতিবছরই নামমাত্র অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে শেষ হয়। তবে এবার বাংলা একাডেমি সেই অনুষ্ঠানমালাও বাতিল করেছে। যেটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী উত্তম গোস্বামী বলেন, ‘বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেন শুধু বালিয়াকান্দি-রাজবাড়ী নয়, দেশের গর্ব। তাঁর জন্মবার্ষিকী প্রতিবছরই নামমাত্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়। যা সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিদের কাছে খুবই দুঃখজনক।’
বালিয়াকান্দি মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমীর আলী বলেন, ‘এখানে মূলত সমন্বয় করা খুবই প্রয়োজন। মীরের জন্মবার্ষিকীতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ও মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ নিয়ে সমন্বয় করতে পারলে দারুণভাবে দিবসটি উদ্যাপন করা সম্ভব।’ তিনি রাজবাড়ীতে মীর মশাররফ হোসেনের নামে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রের অবকাঠামো ঠিকই আছে। তবে এটা পর্যটনবান্ধব করতে বাংলা একাডেমির উদ্যোগের বিকল্প নেই। আমরা বিভিন্ন সময়ে উন্নয়নকাজ করে দিয়েছি, সেখানে আরও করা হবে।’
মীর মশাররফ হোসেন কমপ্লেক্সের অবকাঠামো বেশ ভালো বলে জানান বালিয়াকান্দির ইউএনও রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তবে এখানে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা প্রয়োজন। প্রতিবছরই এখানে লেখকের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। তবে এবার বাংলা একাডেমি থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়ার চিঠি পাইনি।’
মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সি আমির আলী বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন একাধারে গদ্যশিল্পী, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, সাংবাদিক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষের নিবাস বালিয়াকান্দির পদমদীতে।’
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্ম নেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীর নবাব স্টেটে বসবাস করেন। সেখানেই তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। পদমদীতে তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
কালজয়ী উপন্যাস বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের জন্মদিন ১৩ নভেম্বর। বাংলা সাহিত্যের এই লেখকের ১৭৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য বাংলা একাডেমিসহ সংশ্লিষ্টদের নেই উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতি। অনেকটা নীরবেই পার হতে চলেছে মীর মশাররফের জন্মবার্ষিকী। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতে সেভাবে কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।
বাংলা একাডেমি থেকে জানা গেছে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি মীর মশাররফের সমাধিস্থলে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া বাংলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মহাপরিচালকসহ একাডেমির বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। তবে, দেশের চলমান অবস্থার কারণে সমাধিস্থলে তেমন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।
এদিকে বাংলা একাডেমির নেওয়া পদক্ষেপে ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় সুধীসমাজ। তারা বলছে, মীর মশাররফ সম্পর্কে জানতে ও জানাতে বাংলা একাডেমি নয়, বরং বালিয়াকান্দির পদমদীর মতো অজপাড়া গায়ে আলোচনা হওয়া উচিত। বাংলা একাডেমিতে আলোচনা করে সেসব বিষয় মানুষের মধ্যে প্রচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সমাধিস্থলে আলোচনা হলে সাধারণ মানুষ এই সাহিত্যিক সম্পর্কে অনেক ধারণা পেতেন।
সরেজমিন মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিস্থলে গিয়ে জানা গেছে, সমাধিস্থল ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ২০০১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেই সময়ের ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন কমপ্লেক্সের দেয়ালে ধরেছে ছত্রাক। চারপাশ জমেছে ময়লা। জন্মদিন এলেই পরিষ্কারের তোড়জোড় লক্ষ করা যায় সেখানে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সমাধিস্থল প্রায় সারা বছরই পর্যটকশূন্য থাকে। এখানে যথেষ্ট অবকাঠামো থাকলেও বছরজুড়েই জরাজীর্ণ অবস্থায় দেখা যায় কমপ্লেক্সটিকে। দর্শনার্থী বাড়াতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না কর্তৃপক্ষকে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা চৌধুরী রফিকুন নবী টিটো বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন রাজবাড়ী জেলার গর্ব। তাঁর জন্মদিনটি প্রতিবছরই নামমাত্র অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে শেষ হয়। তবে এবার বাংলা একাডেমি সেই অনুষ্ঠানমালাও বাতিল করেছে। যেটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী উত্তম গোস্বামী বলেন, ‘বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেন শুধু বালিয়াকান্দি-রাজবাড়ী নয়, দেশের গর্ব। তাঁর জন্মবার্ষিকী প্রতিবছরই নামমাত্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়। যা সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিদের কাছে খুবই দুঃখজনক।’
বালিয়াকান্দি মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমীর আলী বলেন, ‘এখানে মূলত সমন্বয় করা খুবই প্রয়োজন। মীরের জন্মবার্ষিকীতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ও মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ নিয়ে সমন্বয় করতে পারলে দারুণভাবে দিবসটি উদ্যাপন করা সম্ভব।’ তিনি রাজবাড়ীতে মীর মশাররফ হোসেনের নামে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রের অবকাঠামো ঠিকই আছে। তবে এটা পর্যটনবান্ধব করতে বাংলা একাডেমির উদ্যোগের বিকল্প নেই। আমরা বিভিন্ন সময়ে উন্নয়নকাজ করে দিয়েছি, সেখানে আরও করা হবে।’
মীর মশাররফ হোসেন কমপ্লেক্সের অবকাঠামো বেশ ভালো বলে জানান বালিয়াকান্দির ইউএনও রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তবে এখানে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা প্রয়োজন। প্রতিবছরই এখানে লেখকের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। তবে এবার বাংলা একাডেমি থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়ার চিঠি পাইনি।’
মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সি আমির আলী বলেন, ‘মীর মশাররফ হোসেন একাধারে গদ্যশিল্পী, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, সাংবাদিক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষের নিবাস বালিয়াকান্দির পদমদীতে।’
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্ম নেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীর নবাব স্টেটে বসবাস করেন। সেখানেই তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। পদমদীতে তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩১ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৫ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে