Ajker Patrika

এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি রূপগঞ্জের আগুন, নিখোঁজ ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২১, ১১: ৫৭
এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি রূপগঞ্জের আগুন, নিখোঁজ ২০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১৭টি ইউনিট। 

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিন শ্রমিক নিহত এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। 

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিচালক আব্দুল আল আরিফিন বলেন, সকালে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু সকালে ভবনের ৪-৫ তলায় আবারও বেড়ে যায় আগুন। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভেতরে অনেকেই আটকা ছিলেন যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারা বের হতে পেরেছেন কি না বা তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুননিহত তিনজন হলেন- সিলেট জেলার জ্যোতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫), দিনাজপুরের চিনিরবন্দর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে মোরসালিন (২৮) ও উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আগুন লাগার সময় কারখানায় গেটে তালা লাগানো ছিল। আগুন লাগার ২০ মিনিট পর আমরা ইট দিয়ে গেট টি ভেঙে ফেলতে সক্ষম হই। ততক্ষণে মানুষ ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে জীবন বাঁচাতে নিচে লাফ দিতে থাকেন। ঘণ্টা খানিক পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস লিমিটেডের সপ্তম তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্লোরে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় গোটা কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই স্বপ্না রানী ও মিনা আক্তার নামে দুই নারী শ্রমিক নিহত হন। পরে  রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোরসালিন (২৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত