গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা নতুন এক বন্দীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন শামীমা নুর পাপিয়া। ওই বন্দী তাঁর হাতে-পায়ে ধরলেও তিনি ছাড়েননি। সেই নির্যাতনের জেরে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত এই নেত্রীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই বন্দী বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আজ সোমবার সাংবাদিকদের কাছে সেই নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার কড়িহাতা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে এবং মৃত এ কে এম মাহমুদুল হকের স্ত্রী। তিনি ঢাকার কোতোয়ালি থানার ৭৩৫ নম্বর মামলার আসামি। গত ১৬ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন রুনা লায়লা। গত ২৭ জুন জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রুনা লায়লার ভাই আব্দুল করিম গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ২৫ জুন বোনকে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তাঁর কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীরা ১৯ জুন রুনাকে নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিশ বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারেননি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা ছিল। সেই টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য কারাগারের হাজতি যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াসহ তাঁর সহযোগীরা সিসি ক্যামেরা নেই এমন স্থানে নিয়ে যায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা জোর করে সেই টাকা নিয়ে যায়। পরে পাপিয়া ও তার সহযোগীরা শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। আমাকে না মারার জন্য পাপিয়ার হাতে-পায়ে ধরেছি। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। আরও বেশি করে আমারে মেরেছে।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রুনা লায়লার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।’
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুর রহমান আরও বলেন, ‘এক বন্দীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শোকজ করা তিনজন হলেন—কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার, ডেপুটি জেলার জান্নাতুল তায়েবা ও মেট্রন হাবিলদার ফাতেমা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কারাগারের ভেতরে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা নতুন এক বন্দীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন শামীমা নুর পাপিয়া। ওই বন্দী তাঁর হাতে-পায়ে ধরলেও তিনি ছাড়েননি। সেই নির্যাতনের জেরে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত এই নেত্রীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই বন্দী বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আজ সোমবার সাংবাদিকদের কাছে সেই নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার কড়িহাতা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে এবং মৃত এ কে এম মাহমুদুল হকের স্ত্রী। তিনি ঢাকার কোতোয়ালি থানার ৭৩৫ নম্বর মামলার আসামি। গত ১৬ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন রুনা লায়লা। গত ২৭ জুন জামিনে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রুনা লায়লার ভাই আব্দুল করিম গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ২৫ জুন বোনকে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তাঁর কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীরা ১৯ জুন রুনাকে নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিশ বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারেননি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা ছিল। সেই টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য কারাগারের হাজতি যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াসহ তাঁর সহযোগীরা সিসি ক্যামেরা নেই এমন স্থানে নিয়ে যায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা জোর করে সেই টাকা নিয়ে যায়। পরে পাপিয়া ও তার সহযোগীরা শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। আমাকে না মারার জন্য পাপিয়ার হাতে-পায়ে ধরেছি। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। আরও বেশি করে আমারে মেরেছে।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রুনা লায়লার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।’
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুর রহমান আরও বলেন, ‘এক বন্দীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শোকজ করা তিনজন হলেন—কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার, ডেপুটি জেলার জান্নাতুল তায়েবা ও মেট্রন হাবিলদার ফাতেমা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কারাগারের ভেতরে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’
বগুড়ায় আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২ মিনিট আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেচকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. ইউসুফ আলী পাটোয়ারীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে কদমতলী থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড
১৪ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে হামলা করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সঞ্চয় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে