Ajker Patrika

অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুব্রত বাইন। ছবি: সংগৃহীত
সুব্রত বাইন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুপুরের পরে সুব্রত বাইনকে আট দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৮ মে সুব্রত বাইনকে আট দিন ও মোল্লা মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৩ জুন মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদ, শুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ২৭ মে আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে আটক করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে আটক করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে। পরে বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাঁদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁরা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতেন। সুব্রত বাইন সে সময় খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত