Ajker Patrika

শ্রমিক সংকটে পাকা ধান তোলা নিয়ে শঙ্কায় কালীগঞ্জের কৃষকেরা

প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ১৯
শ্রমিক সংকটে পাকা ধান তোলা নিয়ে শঙ্কায় কালীগঞ্জের কৃষকেরা

কালিগঞ্জ (গাজীপুর): এখন ধান কাটার মৌসুম। গাজীপুরের কালীগঞ্জও এর বাইরে নয়। টানা পাঁচ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাঠে এসেছে সোনার ধান। সারা মাঠে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। কিন্তু কৃষকের মুখে হাসির দেখা নেই। বরং কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারণ, এই ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত কৃষক। সংকট শ্রমিকের। ফলে মাঠেই ঝরে পড়তে শুরু করেছে ধান।

কোভিড–১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত গোটা দেশ। প্রতি দিনই বাড়ছে সংক্রমণ। সরকার এই অবস্থা ঠেকানোর জন্য পুরো দেশে আরোপ করেছে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ। সর্বাত্মক এই লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। আর তাই উত্তরবঙ্গ থেকে ধান কাটার কোনো শ্রমিক এই অঞ্চলে আসতে পারছেন না। ফলে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে।

কালীগঞ্জ উপজেলার বিল বেলাই, ভাটিরা বিল ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধান পেকে কাটার উপযোগী হলেও তা এখনো মাঠেই পড়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ফসলের ক্ষতিও হয়েছে। এখন কালবৈশাখী মৌসুম। এই মুহূর্তে ধান কাটতে না পারলে ঝড় ও জোয়ারের পানিতে তা তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় কৃষক মো. মিরাজ (৪০) বলেন, গত বছরও এই সময়টাতে লকডাউনের কারণে ধান কাটার শ্রমিক আসতে পারেনি। ফলে ধান কাটার জন্য বিঘাপ্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা করে গুনতে হয়েছে। সে সময় এলাকার কৃষকেরা দলবেঁধে একেকজনের ধান কেটে দেন। এবারও একইভাবে ধান কাটতে হবে। দেরি হলে সামান্য ঝড়েই ধান মাটিতে পড়ে যাবে।

সংকট আরও রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে ধান কাটতে গিয়ে খড় বাড়িতে আনতে পারছেন না অনেকে। ফলে গবাদি পশুর খাবার নিয়েও থাকতে হচ্ছে চিন্তায়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম বলেন, কৃষক শ্রমিকদের গণপরিবহনে কোনো বাধা নেই। সরকারি নির্দেশনায় স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে, তাঁরা চাইলে কাজের জন্য যেকোনো স্থানে যেতে পারবেন। এখন কেউ যদি না আসে, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আর ধান কাটার ভর্তুকির ব্যাপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা এখনো নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত