Ajker Patrika

লালনপালনের নামে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ 

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০: ০৪
লালনপালনের নামে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ 

গাজীপুলালনপালনের নামে বিক্রি করে দেওয়া এক শিশুকে চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী ও শিশুটির ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রিমান্ডের আবেদনসহ তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

উদ্ধার হওয়া ১ বছর ৭ মাস বয়সী ওই শিশুর নাম মো. রুহান মোস্তফা। সে রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার চালকুঠি এলাকার মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে। শিশুটির মা-বাবা গাজীপুর সদর থানার উত্তর বিলাসপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাঁরা স্থানীয় তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

 
গ্রেপ্তার হওয়া অপহরণকারী মো. শরিফুল আলম লিটন (৪৫) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কোদালিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি অপহৃত শিশুটির মা-বাবার ভাড়া বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন। গ্রেপ্তার হওয়া ক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৯) চাঁদপুরের মতলব থানাধীন চর মাছুয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন উত্তর বিলাসপুর এলাকায় থাকতেন। 

জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুটির মা-বাবা গত ১০ জানুয়ারি গ্রাম থেকে গাজীপুরে এসে ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে তাঁরা স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি নেন। আসামি মো. শরিফুল আলম লিটন তাঁদের পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া ছিলেন। পাশাপাশি কক্ষ হওয়ায় শরিফুল তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। আজিজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে শরিফুল শিশু রুহানকে লালনপালনের ইচ্ছার কথা আজিজুলকে জানান। আজিজুল বিশ্বাস করে শরিফুলকে সন্তান লালনপালনের দায়িত্ব দেন। তিনি শরিফুলকে মাসিক ৩ হাজার টাকাও দিতে চান। 

গাজীপুরে লালনপালনের নামে শিশু অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনওসি রেজাউল ইসলাম আরও জানান, গত ১১ জানুয়ারি আজিজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সন্তানকে শরিফুলের কাছে রেখে কর্মস্থলে যান। এই সুযোগে শরিফুল শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। জাহাঙ্গীর শিশুটিকে নিয়ে চাঁদপুরে গ্রামের বাড়ি চলে যান। অন্যদিকে অপহরণকারী শরিফুল দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সর্বশেষ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার পতিতাপল্লি এলাকায় আত্মগোপন করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত বুধবার রাতে (২২ ফেব্রুয়ারি) থানায় অভিযোগ করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানার পতিতাপল্লি এলাকায় জিএমপির সদর থানার পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়িতে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। 

শিশুর বাবা মো. আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছেলেকে লালনপালন করার জন্য দিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম সে হয়তো আমার ছেলেকে লালনপালন করছে। কিন্তু আসামি আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে ছেলেকে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বুধবার থানায় অভিযোগ করি। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই ছেলেকে উদ্ধার করে দিয়েছে।’

জিএমপির সহাকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) আহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ শুক্রবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। উদ্ধার হওয়া শিশুকে আদালতের মাধ্যমে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত