ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
থরে থরে সাজানো রসগোল্লা, চমচম, পান্তুয়া, জিলাপি আর কালাইয়ের আমির্তী। জিভে জল আসা এসব মিষ্টান্ন মাত্র ৫-৬ ঘণ্টায় উজাড়। নিমেষেই বিক্রি হয়ে গেল ১০ লাখ টাকায়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও গতকাল মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিজয়া দশমীর সম্প্রীতির মেলায় মিষ্টির দোকানে ছিল রীতিমতো লম্বা লাইন। সব মিষ্টি দ্রুত বিক্রি হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
মেলায় মোট মিষ্টি দোকান বসেছিল ১৭ টি। প্রতিটি দোকানে গড়ে ৬ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। আকার ও প্রকারভেদে একেক কেজি মিষ্টি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যার দাম ১০ লাখ লাখ টাকার ওপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মেলা আয়োজকেরা জানান, ঘিওর সদরের দুর্গা নারায়ণ (ডি. এন) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ। সম্প্রীতির মেলা ও বিজয়া দশমীর মেলা নামেও পরিচিত এ মেলা। ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হয়। চলে রাত নয়টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সব দুর্গা মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের আগে পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে এই স্কুলের মাঠে জড়ো করা হয়। পুরো মাঠ ভরে যায় প্রতিমায়। শেষবারের মতো দুর্গা দেবী দর্শন করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভিড় করেন। বিসর্জনের আগে হিন্দু নারীদের উলুধ্বনি আর কান্নায় চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। প্রতিমা বিসর্জনের পর মুহূর্তেই আনন্দ আর গানবাজনার মূর্ছনায় মেতে ওঠেন হাজারো মানুষ। এরপর পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রায় সবাই কিনে নেন বাহারী মিষ্টি। মেলায় অন্য ধর্মের মানুষেরও ঢল নামে। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই উজ্জ্বল নজিরের ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরাঙ্গ কুমার ঘোষ বলেন, বহু বছরের পুরোনো এই উৎসব এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। এই মেলা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত।
মেলায় এসে মিষ্টি না কিনে কেউ বাড়ি ফেরে না। যার যতটা সাধ্য মিষ্টি কেনেন ততটাই। অনেকে মেলায় মিষ্টি খেয়ে পেট ভরেন; বন্ধু ও অতিথিদের আপ্যায়নও হয় মিষ্টি মুখ করিয়ে।
মিষ্টি বিক্রেতা অজিত কুমার ঘোষ বলেন, বিভিন্ন মাপের রসগোল্লা, পান্তুয়া, জিলাপি, আমির্তী ছাড়াও খাজা, গজা, ক্ষীরের চপের মিষ্টি বিক্রি হয়। দুর-দুরান্ত থেকে আগতরা বিকেলে মিষ্টি কেনেন। আর স্থানীয় বাসিন্দারা বিকেল থেকে শুরু করে রাত নয়টা পর্যন্ত মিষ্টি কিনে থাকেন। অনেকেই শুধু মেলায় আসেন, এই মিষ্টি কিনতে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন তাদের আত্মীয় বাড়িতে এই মেলার মিষ্টি উপহার দেন।
মেলা কমিটির কর্মকর্তা উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ সরকার দীপু বলেন, মেলা শুরুর আগের দিন থেকেই ব্যবসায়ী, কারিগরেরা এসে মিষ্টি তৈরি শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। এ বছর প্রতিটি দোকানে গড়ে পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি করেছেন।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় গামলায় নানা আকারের মিষ্টি রসে ভাসছে। মিষ্টি দোকানে ভিড় সামলানো কঠিন। প্রতিটি দোকানে ৩-৪ জন বিক্রেতার কেউ মিষ্টি মেপে দিচ্ছেন আরেক জন টাকা নিতে ব্যস্ত। কে আগে মিষ্টি কিনে বাড়ি ফিরবে এ নিয়ে ক্রেতাদের সামান্য বচসা ও ধাক্কাধাক্কিও চোখে পড়ল।
প্রবীণ মিষ্টি বিক্রেতা ঝন্টু ঘোষ বলেন, ‘বাবার সঙ্গে এই মেলায় মিষ্ট বিক্রি করেছি। বাবা মারা যাওয়ার পর ৩০ বছর ধরে এখানে আসছি। প্রাচীন এই মেলা যেন মিষ্টি মেলার আসর। এ বার ৬২ হাজার টাকার রসগোল্লা আর জিলাপি বিক্রি করেছি। মেলায় এলে কমবেশি সবাই মিষ্টি খান। মিষ্টি কিনে বাড়ি ফেরেন।’
এক যুগ ধরে মেলায় মিষ্টি বিক্রি বিক্রেতা সাধন ঘোষ বলেন, এত কম সময়ে এত মিষ্টির বেচাকেনা এখানে ছাড়া আর কোথাও নেই। এবার ভিড় জমছে। ব্যবসা ভালো হয়েছে।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, বিজয় দশমীর দিন এখানে সম্প্রীতির মেলায় যেন মিষ্টির হাট বসে। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই সম্প্রীতির মেলা অন্য কোথাও সচরাচর দেখা যায় না।
আয়োজক কমিটি ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার শীল গোবিন্দ বলেন, বিজয়া দশমীর সম্প্রীতির মেলায় সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম থাকে পুরো এলাকা। এ ঐতিহ্য ২০০ বছরের। সব ধর্মের মানুষ মেলার আনন্দ উপভোগ করতে সমবেত হন। যাওয়ার সময় প্রায় সবাই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন মিলনমেলা সত্যিই বিরল। ধর্মের বিভেদ, বিভাজন কোনো দিনই এই মেলার সর্বজনীনতায় দেয়াল তুলতে পারেনি। মেলা ঘেরে দেখেছি, অনেক মিষ্টির দোকান। সব দোকানেই অনেক ভিড়।’
থরে থরে সাজানো রসগোল্লা, চমচম, পান্তুয়া, জিলাপি আর কালাইয়ের আমির্তী। জিভে জল আসা এসব মিষ্টান্ন মাত্র ৫-৬ ঘণ্টায় উজাড়। নিমেষেই বিক্রি হয়ে গেল ১০ লাখ টাকায়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও গতকাল মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিজয়া দশমীর সম্প্রীতির মেলায় মিষ্টির দোকানে ছিল রীতিমতো লম্বা লাইন। সব মিষ্টি দ্রুত বিক্রি হয়ে যাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
মেলায় মোট মিষ্টি দোকান বসেছিল ১৭ টি। প্রতিটি দোকানে গড়ে ৬ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। আকার ও প্রকারভেদে একেক কেজি মিষ্টি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যার দাম ১০ লাখ লাখ টাকার ওপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মেলা আয়োজকেরা জানান, ঘিওর সদরের দুর্গা নারায়ণ (ডি. এন) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ। সম্প্রীতির মেলা ও বিজয়া দশমীর মেলা নামেও পরিচিত এ মেলা। ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হয়। চলে রাত নয়টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সব দুর্গা মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের আগে পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে এই স্কুলের মাঠে জড়ো করা হয়। পুরো মাঠ ভরে যায় প্রতিমায়। শেষবারের মতো দুর্গা দেবী দর্শন করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভিড় করেন। বিসর্জনের আগে হিন্দু নারীদের উলুধ্বনি আর কান্নায় চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। প্রতিমা বিসর্জনের পর মুহূর্তেই আনন্দ আর গানবাজনার মূর্ছনায় মেতে ওঠেন হাজারো মানুষ। এরপর পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রায় সবাই কিনে নেন বাহারী মিষ্টি। মেলায় অন্য ধর্মের মানুষেরও ঢল নামে। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই উজ্জ্বল নজিরের ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরাঙ্গ কুমার ঘোষ বলেন, বহু বছরের পুরোনো এই উৎসব এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। এই মেলা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত।
মেলায় এসে মিষ্টি না কিনে কেউ বাড়ি ফেরে না। যার যতটা সাধ্য মিষ্টি কেনেন ততটাই। অনেকে মেলায় মিষ্টি খেয়ে পেট ভরেন; বন্ধু ও অতিথিদের আপ্যায়নও হয় মিষ্টি মুখ করিয়ে।
মিষ্টি বিক্রেতা অজিত কুমার ঘোষ বলেন, বিভিন্ন মাপের রসগোল্লা, পান্তুয়া, জিলাপি, আমির্তী ছাড়াও খাজা, গজা, ক্ষীরের চপের মিষ্টি বিক্রি হয়। দুর-দুরান্ত থেকে আগতরা বিকেলে মিষ্টি কেনেন। আর স্থানীয় বাসিন্দারা বিকেল থেকে শুরু করে রাত নয়টা পর্যন্ত মিষ্টি কিনে থাকেন। অনেকেই শুধু মেলায় আসেন, এই মিষ্টি কিনতে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন তাদের আত্মীয় বাড়িতে এই মেলার মিষ্টি উপহার দেন।
মেলা কমিটির কর্মকর্তা উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ সরকার দীপু বলেন, মেলা শুরুর আগের দিন থেকেই ব্যবসায়ী, কারিগরেরা এসে মিষ্টি তৈরি শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। এ বছর প্রতিটি দোকানে গড়ে পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি করেছেন।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় গামলায় নানা আকারের মিষ্টি রসে ভাসছে। মিষ্টি দোকানে ভিড় সামলানো কঠিন। প্রতিটি দোকানে ৩-৪ জন বিক্রেতার কেউ মিষ্টি মেপে দিচ্ছেন আরেক জন টাকা নিতে ব্যস্ত। কে আগে মিষ্টি কিনে বাড়ি ফিরবে এ নিয়ে ক্রেতাদের সামান্য বচসা ও ধাক্কাধাক্কিও চোখে পড়ল।
প্রবীণ মিষ্টি বিক্রেতা ঝন্টু ঘোষ বলেন, ‘বাবার সঙ্গে এই মেলায় মিষ্ট বিক্রি করেছি। বাবা মারা যাওয়ার পর ৩০ বছর ধরে এখানে আসছি। প্রাচীন এই মেলা যেন মিষ্টি মেলার আসর। এ বার ৬২ হাজার টাকার রসগোল্লা আর জিলাপি বিক্রি করেছি। মেলায় এলে কমবেশি সবাই মিষ্টি খান। মিষ্টি কিনে বাড়ি ফেরেন।’
এক যুগ ধরে মেলায় মিষ্টি বিক্রি বিক্রেতা সাধন ঘোষ বলেন, এত কম সময়ে এত মিষ্টির বেচাকেনা এখানে ছাড়া আর কোথাও নেই। এবার ভিড় জমছে। ব্যবসা ভালো হয়েছে।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, বিজয় দশমীর দিন এখানে সম্প্রীতির মেলায় যেন মিষ্টির হাট বসে। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই সম্প্রীতির মেলা অন্য কোথাও সচরাচর দেখা যায় না।
আয়োজক কমিটি ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার শীল গোবিন্দ বলেন, বিজয়া দশমীর সম্প্রীতির মেলায় সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে সরগরম থাকে পুরো এলাকা। এ ঐতিহ্য ২০০ বছরের। সব ধর্মের মানুষ মেলার আনন্দ উপভোগ করতে সমবেত হন। যাওয়ার সময় প্রায় সবাই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন মিলনমেলা সত্যিই বিরল। ধর্মের বিভেদ, বিভাজন কোনো দিনই এই মেলার সর্বজনীনতায় দেয়াল তুলতে পারেনি। মেলা ঘেরে দেখেছি, অনেক মিষ্টির দোকান। সব দোকানেই অনেক ভিড়।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
৩ মিনিট আগেরংপুরের বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই দপ্তরির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকেরা হুমকি দিয়েছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার ইউএন
৬ মিনিট আগেরাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
১৫ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
২৫ মিনিট আগে