নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সমন্বয় দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী আমাদের প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএনসিসি মেয়রের উদ্দেশে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বছরব্যাপী পরিকল্পনা করেছেন—এটা ভালো উদ্যোগ। তবে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আজকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি থাকলে মনে হয় ভালো হতো। আপনারা মশা মেরে শেষ করবেন, সব মশা দৌড়ে দক্ষিণ সিটিতে চলে যাবে। ফলে দুই সিটি একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে হবে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি হচ্ছে সিটি করপোরেশনের পার্ট, আরেকটি হচ্ছে জনগণের পার্ট। সিটি করপোরেশন দায় চাপায় জনগণের ওপর, আবার জনগণ দায় চাপায় সিটি করপোরেশনের ওপর। এ মুহূর্তে ঢাকায় ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা আছে, আর ১ শতাংশ এডিস মশা আছে। এই ১ শতাংশ এডিস মশাই জনস্বাস্থ্যে সমস্যা তৈরি করে।
বৈঠকে আগের বছরের বিটিআই (জৈব কীটনাশক) জালিয়াতির তথ্য তুলে ধরে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ঠিকাদার কোম্পানির কাছ থেকে মশকনিধনের ওষুধ আর কেনা হবে না। এর আগে বিটিআই আমরা এনেছিলাম ৫ টন, যার বাজারমূল্য ছিল ৭০ লাখ টাকা। সেখানে সব টেস্টে বিটিআইয়ের কোনো সমস্যা ছিল না। এর মান কোনো দিক দিয়ে কম ছিল না। ঠিকাদার কোম্পানি বিটিআইয়ের কান্ট্রি অব অরজিন মিস ডিক্লারেশন করেছিল। মিস ডিক্লারেশন করে যে কোম্পানি বিটিআই এনেছে, সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। সেই কোম্পানির প্রোডাক্টটি আমরা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছি। ৭০ লাখ টাকার একটি টাকাও সেই কোম্পানিকে দেওয়া হয়নি। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা দরকার ছিল সবই নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ছয় ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে—১. অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ২. জনসচেতনা ও জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি, ৩. নির্মাণাধীন ভবনে কর্মরত শ্রমিক এবং কর্মচারীদের জ্ঞানের অভাব এবং অসহযোগিতা, ৪. পরিত্যাক্ত এবং অপরিকল্পিত ছাদবাগান, ৫. বেজমেন্ট পার্কিংয়ে জমাকৃত পানি এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যার তথ্যে অপ্রতুলতা।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নিপসম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, সিডিসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সমন্বয় দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী আমাদের প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএনসিসি মেয়রের উদ্দেশে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বছরব্যাপী পরিকল্পনা করেছেন—এটা ভালো উদ্যোগ। তবে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আজকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি থাকলে মনে হয় ভালো হতো। আপনারা মশা মেরে শেষ করবেন, সব মশা দৌড়ে দক্ষিণ সিটিতে চলে যাবে। ফলে দুই সিটি একসঙ্গে উদ্যোগ না নিলে হবে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি হচ্ছে সিটি করপোরেশনের পার্ট, আরেকটি হচ্ছে জনগণের পার্ট। সিটি করপোরেশন দায় চাপায় জনগণের ওপর, আবার জনগণ দায় চাপায় সিটি করপোরেশনের ওপর। এ মুহূর্তে ঢাকায় ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা আছে, আর ১ শতাংশ এডিস মশা আছে। এই ১ শতাংশ এডিস মশাই জনস্বাস্থ্যে সমস্যা তৈরি করে।
বৈঠকে আগের বছরের বিটিআই (জৈব কীটনাশক) জালিয়াতির তথ্য তুলে ধরে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ঠিকাদার কোম্পানির কাছ থেকে মশকনিধনের ওষুধ আর কেনা হবে না। এর আগে বিটিআই আমরা এনেছিলাম ৫ টন, যার বাজারমূল্য ছিল ৭০ লাখ টাকা। সেখানে সব টেস্টে বিটিআইয়ের কোনো সমস্যা ছিল না। এর মান কোনো দিক দিয়ে কম ছিল না। ঠিকাদার কোম্পানি বিটিআইয়ের কান্ট্রি অব অরজিন মিস ডিক্লারেশন করেছিল। মিস ডিক্লারেশন করে যে কোম্পানি বিটিআই এনেছে, সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। সেই কোম্পানির প্রোডাক্টটি আমরা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছি। ৭০ লাখ টাকার একটি টাকাও সেই কোম্পানিকে দেওয়া হয়নি। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা দরকার ছিল সবই নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ছয় ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে—১. অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ২. জনসচেতনা ও জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি, ৩. নির্মাণাধীন ভবনে কর্মরত শ্রমিক এবং কর্মচারীদের জ্ঞানের অভাব এবং অসহযোগিতা, ৪. পরিত্যাক্ত এবং অপরিকল্পিত ছাদবাগান, ৫. বেজমেন্ট পার্কিংয়ে জমাকৃত পানি এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যার তথ্যে অপ্রতুলতা।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নিপসম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, সিডিসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে