Ajker Patrika

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা’ উল্লেখ করে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের নাজনীন স্কুল ও কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে কামাল ভাই আমাদের একজন শ্রদ্ধার মানুষ। তিনি যেভাবে লড়াই করেছেন, আমার কষ্ট হয় কামাল ভাই এখনো একটা পদক পায়নি। কামাল ভাই স্বাধীনতা পদক পাওয়ার যোগ্য। আমি কামাল ভাইকে খুশি করার জন্য বলছি না। বললে স্তুতি হয়, না বললে অবিচার হয়। যে সময় তিনি কাঠের গুঁড়ি নিয়ে, বাঁশ নিয়ে লাঠি নিয়ে ট্যাংকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন সেটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ। কামাল ভাই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা।’ 

এই লাইব্রেরি গঠনে যাবতীয় সকল সহযোগিতা তিনি করবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কামাল ভাইয়ের নামে একটি লাইব্রেরি হবে এটা শুনেই আমি আসতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের বই থাকবে, জাতির পিতার বই থাকবে, স্বাধীনতার ইতিহাসের বই থাকবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বই থাকবে, কামাল ভাইয়ের বই থাকবে—সেই সব লাইব্রেরির কাজের সঙ্গে আমি আছি।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের স্বার্থে প্রয়োজন মতো কিছু কাজ করার জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন। মধুবাগের মাঠে একটি কমিউনিটি সেন্টার করলাম। বাকি যা ছিল তা দিয়ে কি করা যায় যখন ভাবছিলাম তখন মাসুদ, বাদশা এরা এসে বলল, আমাদের একটা লাইব্রেরি করে দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও যখন জায়গা পাওয়া গেল না তখন নাজনীন স্কুলের পরিচালনা পর্ষদে যারা ছিলেন তাঁরা এগিয়ে আসলেন। লাইব্রেরিটি করতে সবাই অনেক সহযোগিতা করেছে। যারা এই লাইব্রেরি তৈরির পেছনে ছিল তাঁদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমি ছোট থেকেই বই পড়তে পছন্দ করতাম। স্কুল-কলেজ শেষে বিভিন্ন লাইব্রেরিতে ঘুরে বই পড়তাম। তখন অবশ্য খুব বেশি লাইব্রেরি ছিল না। বই পড়ার একটা নেশা আমার ছিল।’ 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, ‘এই পাঠাগার হওয়াতে আমাদের বাচ্চারাসহ এলাকার যারা বয়স্ক ব্যক্তিরা আছেন তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে সময় কাটাতে পারবেন। পাঠাগারের জায়গাটি ছোট হলেও এটিকে একটি উন্নতমানের পাঠাগার হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহায়তা চাই।’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবদুল গাফফার, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরসহ নাজনীন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত