Ajker Patrika

জলাধারের স্থাপনা উচ্ছেদ করল ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জলাধারের স্থাপনা উচ্ছেদ করল ডিএনসিসি

রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধারের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বিলবোর্ড টানিয়ে স্থাপনা গড়ে উঠছিল। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বুলডোজার এসে সেটি গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধারের জায়গা পরিদর্শনে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের হওয়ায় প্রথমেই মেয়র কল করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে। পরে ফোন করেন রেলের ডিজি ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারকে। এ সময় ফোনে মেয়র বলেন, এটা তো জলাধার। আপনারা কীভাবে এ জায়গা বরাদ্দ দিলেন? খিলক্ষেত, এয়ারপোর্ট রোড, নিকুঞ্জসহ আশপাশের সব এলাকার পানি এখানে জমা হয়। এটা যদি ভরাট করে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং কমপ্লেক্স হয়, তাহলে তো বর্ষায় আশপাশের এলাকা ডুবে যাবে। জলাধার দখল করে আমি কোনোভাবেই এটা এখানে হতে দেব না। 

রেলমন্ত্রী এবং রেলের ডিজির সঙ্গে মেয়রের এ কথোপকথন স্থানীয়রাও শুনছিলেন। ‘জলাধার দখল করে আমি কোনোভাবেই এটা এখানে হতে দেব না’ মেয়রের এ কথা শোনামাত্রই স্থানীয়রা সেখানে গড়ে ওঠা স্থাপনা ভাঙতে শুরু করেন। মুহূর্তেই অস্থায়ী স্থাপনার বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলেন তারা। 

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাশয় আমাদের খুব প্রয়োজন। এ জলাশয়কে ঘিরেই আমরা একটি প্ল্যান করেছি। এখানে আমরা একটি ওপেন স্পেস করে দেব। আশপাশের সব এলাকার পানি এখানে এসে জমা হয়। এমন একটি জলাশয়ের জায়গা বাংলাদেশ রেলওয়ে পাঁচ তারকা হোটেল এবং শপিং মল করার জন্য কীভাবে বরাদ্দ দিল, এটা আমার বোধগম্য নয়। ১.৮৪ একর জমি, যেটা জলাশয় সেটা তারা কীভাবে বরাদ্দ দেয়? 

এদিকে জলাধার উদ্ধার অভিযানে ডেভেলপার কোম্পানির মালপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করায় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মেয়রের উপস্থিতিতেই ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়ার কর্মী ও সমর্থকেরা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন সাইট অফিস ভাঙচুর করেন। অফিসটির জানালার লোহার গ্রিলগুলো খুলে নিয়ে যান নেতা-কর্মীরা। কাউন্সিলরের কর্মীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সিমেন্টের বস্তা, চেয়ার, টেবিল, লোহার রড ও লোহার অন্য কাঠামো। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সিটি করপোরেশনের পোশাক পরিহিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লুটপাটের ঘটনা আমার নজরে পড়েনি। পুরো সময় জুড়ে মেয়রের সঙ্গে আমি উপস্থিত ছিলাম। এমন কিছু হয়ে থাকলে বহিরাগত লোকজন করতে পারে। তারপরও আমরা খোঁজ খবর নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত