Ajker Patrika

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সড়ক অনেকটাই ফাঁকা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সড়ক অনেকটাই ফাঁকা 

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ১৫তম দিন চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াই রাজধানীর সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের চাপ কিছুটা কম রয়েছে। তবে প্রয়োজন ছাড়া অকারণে মানুষ বাইরে আসছে। গলির মধ্যেও রয়েছে মানুষের অবাধ চলাচল। 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম থাকলেও, সড়কে আজ চলছে রিকশা , মোটরসাইকেল ও  পণ্যবাহী যানবাহন। পুলিশের চেক পোস্টগুলোও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কিছুটা ঢিলেঢালা। বেশির ভাগ অফিস বন্ধ থাকায় সড়কে অফিসগামী যাত্রীদের ও খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। 

তা ছাড়া রাজধানীতে ঢোকার প্রবেশপথগুলোতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা মানুষের ভিড় রয়েছে। গাবতলী আমিনবাজার ব্রিজ দিয়ে আজও মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে। 

বাড্ডা এলাকায় সিএনজির জন্য পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নিলুফার বেগমকে। বিধিনিষেধের মধ্যে কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'পরিবার নিয়ে উত্তরায় বোনের বাসায় যাচ্ছি। ওখানে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠান আছে আজ, তাই যাচ্ছি। করোনাকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। করোনার কারণে সব কাজ বাদ দিয়ে ঘরে বসে থাকলেও জীবন চলবে না। তা ছাড়া লকডাউনে বাসায় বন্দী থাকতে থাকতে বাচ্চারাও বিরক্ত হয়ে গেছে।' 

বাইরে আসা সোলায়মান হক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'তেজগাঁও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করি। যেহেতু জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত এবং শুক্রবারেও কাজ চলে। তাই বাইরে এসেছি অফিসে যাওয়ার জন্য। তবে সড়কে অন্যান্য দিন অনেক মানুষ থাকলেও আজ কিছুটা ফাঁকা। কোন ঝামেলা ছাড়াই তেজগাঁও যাওয়ার জন্য রিকশা পেয়ে গেছি। অন্যান্যদিন অফিস টাইমে রিকশা পাওয়া যায় না।' 

সড়কের মোড়ে মোড়ে যাত্রী না থাকায় অবসর বসে থাকতে দেখা গেছে রিকশাচালকদের। রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মোটরসাইকেল চালদেরও যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। 

রিকশাচালক রহিম আলির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'অন্যান্য দিন সকাল বেলায় ৫০০-৬০০  টাকা আয় করা যায়। কিন্তু আজ শুক্রবার যাত্রী নেই বললেই চলে। এখন পর্যন্ত তেমন কোন ভাড়া পাইনি।  

এদিকে, রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চাপ কম থাকায় কোথাও কোথাও কিছুটা ঢিলেঢালাভাব রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। আবার কিছু এলাকায় পুলিশেকে আজ বেশ কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। রামপুরা পুলিশ চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাকিব বলেন, 'এমনিতেই  আজ শুক্রবার বেশির ভাগ অফিস বন্ধ। ফলে আজ সড়কে যানবাহন ও মানুষের চাপ কিছুটা। তার পরেও কিছু মানুষ বাইরে আসছেন। বাইরে আসলেই চেকপোস্টের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা কারণ ছাড়া বাইয়ে আসছেন তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে যারা বাইরে আসার পেছনে মিথ্যা যুক্তি দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি'। 

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ যা ৫ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়াই চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত