অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
ষাটোর্ধ্ব জহুরুদ্দিন হাওলাদারের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে। পেশায় তিনি কৃষক। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা ফেরি করে বিক্রির কাজে নেমে পড়েন। ৩২ বছর ধরে এ কাজ করছেন।
সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন স্থানে পতাকা বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। পতাকা বিক্রির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁর যাওয়া হয়। লাল-সবুজের পতাকার এই ফেরিওয়ালা এবার এসেছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে।
আজ শুক্রবার সকালে কথা হয় জহুরুদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষিকাজ করেন। বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। তাঁর তিন ছেলে। এঁদের মধ্যে দুই ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে কাতারে থাকেন।
পতাকা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে জহুরুদ্দিন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে আমি বেরিয়ে পড়ি। দিন-রাত গ্রামে ও শহরের অলিগলিতে ঘুরে পতাকা বিক্রি করি। ৩২ বছর ধরে এ কাজ করি। দিনে দু-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তাতে সব মিলিয়ে ১ হাজার ২০০ পর্যন্ত লাভের টাকা থেকে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের সময় পালিয়েছিলাম। পরে এলাকাতে আসি। তবে আমাদের গ্রামে কোনো সহিংসতা হয়নি। কিন্তু অন্যান্য গ্রামে খুব অত্যাচার করেছে তারা। দেখেছি দেশটাকে কীভাবে পাকিস্তানিরা লন্ডভন্ড করেছে। অনেক মানুষ তখন জীবন দিয়েছেন। সেই জীবনের বিনিময়ে এই পতাকা আমাদের হয়েছে। সে সময় ছোট ছিলাম। তাই দেশের জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি। এখন দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে খুব যত্ন নিয়ে পতাকা সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিই।’
আজ বালিয়াকান্দি শহরে জহুরুদ্দিনের কাছ থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে পতাকা কিনতে দেখা যায় শিশুশ্রেণিতে পড়া মাধুর্য বিশ্বাস, স্নিগ্ধা দাস, লিখন দেসহ অনেক শিশুকে। পতাকা কিনতে পেরে তারাও যেন উচ্ছ্বসিত।
আকারভেদে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন তিনি। একই সঙ্গে মাথায় বাঁধার জন্য ফিতাযুক্ত পতাকা, পতাকাসংবলিত স্টিকার, পতাকার ছবি সংযুক্ত বিভিন্ন পণ্যও বিক্রি করেন তিনি।
বারুগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমীর আলী বলেন, ‘এই পতাকা তাজা রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। এই পতাকার ইতিহাস শিশুদের বইয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিকভাবে জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে শুধু তাদের হাতে পতাকা তুলে দিলে হবে না, তাদের এই পতাকার সম্মান রাখার বিষয়ে জানাতে হবে। পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন যেন পতাকার অবমাননা না করে—এই বিষয়ের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
ষাটোর্ধ্ব জহুরুদ্দিন হাওলাদারের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে। পেশায় তিনি কৃষক। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা ফেরি করে বিক্রির কাজে নেমে পড়েন। ৩২ বছর ধরে এ কাজ করছেন।
সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন স্থানে পতাকা বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। পতাকা বিক্রির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁর যাওয়া হয়। লাল-সবুজের পতাকার এই ফেরিওয়ালা এবার এসেছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে।
আজ শুক্রবার সকালে কথা হয় জহুরুদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষিকাজ করেন। বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। তাঁর তিন ছেলে। এঁদের মধ্যে দুই ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে কাতারে থাকেন।
পতাকা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে জহুরুদ্দিন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে আমি বেরিয়ে পড়ি। দিন-রাত গ্রামে ও শহরের অলিগলিতে ঘুরে পতাকা বিক্রি করি। ৩২ বছর ধরে এ কাজ করি। দিনে দু-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তাতে সব মিলিয়ে ১ হাজার ২০০ পর্যন্ত লাভের টাকা থেকে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের সময় পালিয়েছিলাম। পরে এলাকাতে আসি। তবে আমাদের গ্রামে কোনো সহিংসতা হয়নি। কিন্তু অন্যান্য গ্রামে খুব অত্যাচার করেছে তারা। দেখেছি দেশটাকে কীভাবে পাকিস্তানিরা লন্ডভন্ড করেছে। অনেক মানুষ তখন জীবন দিয়েছেন। সেই জীবনের বিনিময়ে এই পতাকা আমাদের হয়েছে। সে সময় ছোট ছিলাম। তাই দেশের জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি। এখন দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে খুব যত্ন নিয়ে পতাকা সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিই।’
আজ বালিয়াকান্দি শহরে জহুরুদ্দিনের কাছ থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে পতাকা কিনতে দেখা যায় শিশুশ্রেণিতে পড়া মাধুর্য বিশ্বাস, স্নিগ্ধা দাস, লিখন দেসহ অনেক শিশুকে। পতাকা কিনতে পেরে তারাও যেন উচ্ছ্বসিত।
আকারভেদে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন তিনি। একই সঙ্গে মাথায় বাঁধার জন্য ফিতাযুক্ত পতাকা, পতাকাসংবলিত স্টিকার, পতাকার ছবি সংযুক্ত বিভিন্ন পণ্যও বিক্রি করেন তিনি।
বারুগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমীর আলী বলেন, ‘এই পতাকা তাজা রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। এই পতাকার ইতিহাস শিশুদের বইয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিকভাবে জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে শুধু তাদের হাতে পতাকা তুলে দিলে হবে না, তাদের এই পতাকার সম্মান রাখার বিষয়ে জানাতে হবে। পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন যেন পতাকার অবমাননা না করে—এই বিষয়ের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
১ ঘণ্টা আগেশ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে ভাঙছে ইট, গড়ে উঠছে দালান, সেতু, রাস্তা। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই পরিশ্রমের কাজ করেও জোড়া লাগেনি তাঁদের ভাগ্য। এখান থেকে পাওয়া সামান্য আয়ে তাঁরা কোনোরকমে ধরে রেখেছেন সংসারের হাল।
১ ঘণ্টা আগেসড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৯ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৯ ঘণ্টা আগে