মাদক মামলায় পরীমণিসহ তিনজনের জামিন

মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এ জামিন দেন। জামিনপ্রাপ্ত বাকি দুজন হলেন আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। 

সকালে এ তিনজন সপরিবারে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। 

মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে স্থানান্তর হওয়ায় প্রথা অনুযায়ী পুনরায় জামিন নিতে হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত জামিন আবেদন শুনানি করেন। তবে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। বিচারক ছুটিতে থাকায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি মুলতবি করা হয়। আগামী ১৫ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। 

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (অ্যাডিশনাল পিপি) তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় শুনানি হয়নি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক আসামিদের জামিন দিয়েছেন। 

গত ১৩ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। পরে আদালত এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ঠিক করেন। 

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরিমণীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে তাঁকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরিমণীর জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।