মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আটজন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. সাজ্জাদ হাওলাদার (২৮)। তিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের ছেলে। সাজ্জাদ পেশায় একজন স্যানেটারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন—কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার আসাদ হাওলাদার (৩৬), মনির হাওলাদার (৪৪), খলিল হাওলাদার (২৫), জাহানারা বেগম (৬০), কালু হাওলাদার (৫২), স্বপন হাওলাদার (৬০) প্রমুখ। আহতরা বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের সঙ্গে একই এলাকার হারুন হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এলাকায় কয়েক দফা সালিসও হয়। এরপরও জমি দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে হারুণ হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে কালু হাওলাদারের ওপর হামলা চালান। এরপরেই দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের আটজন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদ হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের বাবা কালু হাওলাদার বলেন, ‘হারুন হাওলাদার লোকজন নিয়ে আমাদের জমি দখলে নিতে আসেন। পরে তাদের বাধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আমার ছেলে মারা যায়। যারা আমার ছেলেকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই।’
নিহতের চাচা আবদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘হারুন হাওলাদারের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন হামলা চালিয়ে সাজ্জাদ হাওলাদারকে দা দিয়ে প্রথমে মাথায় কোপ দেয়। পরে সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমরা কোনোভাবেই এ ঘটনা মানতে পারছি না। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।’
অভিযুক্ত হারুন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের ওপর তারা প্রথমে হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধ করেছি মাত্র। আমরা কারও কোনো জমি দখল করতে যাইনি। আমাদের বিপদে ফেলতে তারা মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছেন।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও কালকিনি সার্কেল) মো. আলাউল হাসান বলেন, বুধবার দুপক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে এক দফা মারামারি হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও দুপক্ষ মারামারি করে। একপর্যায়ে সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল বরিশালের সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ কারণে আহতেরা বরিশাল মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। এলাকায় হামলাকারীরা কেউ নেই। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আটজন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. সাজ্জাদ হাওলাদার (২৮)। তিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের ছেলে। সাজ্জাদ পেশায় একজন স্যানেটারি ব্যবসায়ী ছিলেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন—কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ এলাকার আসাদ হাওলাদার (৩৬), মনির হাওলাদার (৪৪), খলিল হাওলাদার (২৫), জাহানারা বেগম (৬০), কালু হাওলাদার (৫২), স্বপন হাওলাদার (৬০) প্রমুখ। আহতরা বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির চর আলিমাবাদ এলাকার কালু হাওলাদারের সঙ্গে একই এলাকার হারুন হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এলাকায় কয়েক দফা সালিসও হয়। এরপরও জমি দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে হারুণ হাওলাদার তার লোকজন নিয়ে কালু হাওলাদারের ওপর হামলা চালান। এরপরেই দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের আটজন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদ হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের বাবা কালু হাওলাদার বলেন, ‘হারুন হাওলাদার লোকজন নিয়ে আমাদের জমি দখলে নিতে আসেন। পরে তাদের বাধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আমার ছেলে মারা যায়। যারা আমার ছেলেকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই, তাদের ফাঁসি চাই।’
নিহতের চাচা আবদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘হারুন হাওলাদারের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন হামলা চালিয়ে সাজ্জাদ হাওলাদারকে দা দিয়ে প্রথমে মাথায় কোপ দেয়। পরে সাজ্জাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমরা কোনোভাবেই এ ঘটনা মানতে পারছি না। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।’
অভিযুক্ত হারুন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের ওপর তারা প্রথমে হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধ করেছি মাত্র। আমরা কারও কোনো জমি দখল করতে যাইনি। আমাদের বিপদে ফেলতে তারা মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছেন।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও কালকিনি সার্কেল) মো. আলাউল হাসান বলেন, বুধবার দুপক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে এক দফা মারামারি হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও দুপক্ষ মারামারি করে। একপর্যায়ে সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল বরিশালের সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ কারণে আহতেরা বরিশাল মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। এলাকায় হামলাকারীরা কেউ নেই। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে ৯ বছর বয়সী বাক্প্রতিবন্ধী এক পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনেরা বলছেন,...
২৫ মিনিট আগেএস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে বিদেশে থাকা ২৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ এবং এস আলমের নামে থাকা সাইপ্রাসের দোতলাবিশিষ্ট বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোস
৩০ মিনিট আগেময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা কম্বলসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে কলসিন্দুর-দুধনই সড়কের দেউলা সেতু এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় একটি করে প্রাইভেট কার ও কাভার্ড ভ্যান, ১৫০টি কম্বল, ছয়টি মোবাইল ফোন ও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কথা-কাটাকাটির জেরে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টেনে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার থানা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে