Ajker Patrika

কোরবানি সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

নাঈম ইসলাম, ধামরাই (ঢাকা)
কোরবানি সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

আগামী ২১ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার ধামরাইয়ের স্থানীয় কামাররা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম।

সরেজমিনে আজ সোমবার ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার, ধামরাই, গোয়ালদি, দেপাশাই, আমতলী বাজার, কাওয়ালীপাড়াসহ ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানি ও মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। অনেকেই পশু কোরবানির জন্য নতুন করে দা, ছুরি, চাপাতি তৈরি করছেন। কেউ কেউ পুরোনো সরঞ্জামে শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজ করছেন।

গোয়ালদি এলাকার আবদুল আহাদ বাবু জানান, আমি প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে গরু কোরবানি দেই। এবারও কোরবানি দেব। কিন্তু করোনার জন্য এখনো গরু দেখতে যেতে পারিনি। ঈদের আগের দিন গরু কিনবো। খোঁজ খবর রাখছি কোথায় দেশি ভালো গরু পাওয়া যাবে। কয়েক দিন পর থেকে কামারের দোকানে ভিড় বাড়বে। তাই আগে থেকেই ছুরি ও চাপাতিতে শান দিয়ে রাখছি।

ধামরাইয়ের গোয়ালদি এলাকায় কামারের দোকানে ভিড় জমিয়েছে লোকজনগোয়ালদি এলাকার কামার শ্যামল দাশ বলেন, লকডাউনের কারণে এত দিন কাজ বন্ধ থাকার কারণে তেমন কাজ হয়নি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন একটু কাজ হচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে কয়লা আর কাঁচামাল আনতে পারিনি। কয়লা ছাড়াতো আর কাজ করা যাবে না। ধামরাইতে কয়লার দাম অনেক বেশি। যদি গাবতলি গিয়ে কয়লা আনতে পারতাম তা হলে কম দামে পেতাম। কিন্তু লকডাউনের জন্য গণপরিবহন না চলার কারণে যেতে পারছি না। ঈদের আগে যদি ঠিকমতো কাজ করতে পারি তা হলে অন্তত কয়েকটা দিন একটু ভালো ভাবে চলতে পারবো।

শ্যামল দাশের বাবা মাহিন্দ্র দাশ বলেন, দুই বছর ধরে করোনার জন্য কাজ করতে পারিনি। করোনা না থাকলে ঈদের এক মাস আগে থেকেই দোকানে ভিড় থাকে। আর করোনার কারণে দামও কম এখন। কিন্তু কয়লার দাম বেশি থাকায় আমাদের লাভ কম হচ্ছে।

মাহিন্দ্র দাশ জানান, ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা আকৃতির সরঞ্জাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা। তবে লোহার আকৃতির কারণে এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া পুরোনো দা, বটি, ছুড়ি শান দিতে বা লবণ-পানি দিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়ে থাকে। নতুন আধুনিক অনেক সরঞ্জাম আসাতে আমাদের ক্রেতা আগের থেকে অনেক কমে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত