Ajker Patrika

ব্যবসায়ীকে অপহরণ: সিআইডি কর্মকর্তাসহ ২ পুলিশ সদস্য কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০: ০০
ব্যবসায়ীকে অপহরণ: সিআইডি কর্মকর্তাসহ ২ পুলিশ সদস্য কারাগারে

ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।

দুই পুলিশ সদস্য হলেন এসআই রেজাউল করিম ও কনস্টেবল আবু সাঈদ। তাঁরা সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন। এসআই রেজাউলকে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী ও কনস্টেবল আবু সাঈদকে আজ সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুজনকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি দুই দিনে আদালতে হাজির করে তাদের মামলা তদন্ত শেষ পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভাটার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রাকিব দুজনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত শনিবার রেজাউল করিমকে ও গতকাল আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৩১ অক্টোবর ভাটারা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর এই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে সিআইডির কর্মকর্তা পরিচয় ফোন দিয়ে তার বাসার ঠিকানা জানতে চান। তিনি পুলিশের কোনো প্রয়োজন মনে করে বাসার ঠিকানা দেন। পরদিন ৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় সিআইডির পোশাক পরা হেলমেট পরিহিত অবস্থায় বাদীর দক্ষিণ কুড়িলের বাসায় যান। বাদীর সঙ্গে কথা আছে বলে তাঁকে নিচে নিয়ে যান। পরে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পূর্বাচলের এক নির্জন স্থানে যান। সেখানে হাত কড়া পরিয়ে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে তিনি ভয়ে ৩ লাখ টাকা নগদ প্রদান করেন সিআইডি পরিচয়ধারীদের।

কিন্তু এতেও তাঁরা ক্ষান্ত হননি। বাদীর এটিএম কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আরও ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা তাঁরা নিয়ে যান। একই সঙ্গে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই বাদীকে তাঁরা ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এরপর ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পর ৩১ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মামলা তদন্তভার পাওয়ার পর এই অভিযোগের সূত্র ধরে ব্যাংকের সিসিটিভি পর্যালোচনা করে ইমন সরদার নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে আব্দুল্লাহ আল ফাহিম নামে আরেকজনকে আটক করা হয়। ইমন সরদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর দেখা যায়, সিআইডিতে কর্মরত এসআই রেজাউল ও কনস্টেবল আবু সাঈদ দুজনই এই ঘটনার মূল হোতা।

তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক না রাখলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

পিরোজপুরে ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতির পরিচালক, সদস্যদের বিক্ষোভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত