Ajker Patrika

বাংলাদেশের নাম আমরা পরিবর্তন করতে দেব না: ফজলুর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ইটনায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইটনায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নতুন বাংলাদেশ দিবস প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘এই দেশের নাম বাংলাদেশ থাকবে, এই দেশে যত দিন চন্দ্র-সূর্য উঠবে, তত দিন বাংলার ৩০ লাখ শহীদের নাম কেউ ভুলবে না।

বাংলাদেশ ছাড়া এই দেশের নাম আমরা কোনো দিন কেউ পরিবর্তন করতে দেব না। যদি এই দেশের নাম আবার পাকিস্তান না চান, তাহলে তৈরি থাকেন। নতুন বাংলাদেশ হবে কেন? বাংলাদেশ ৭১ সনেই সৃষ্টি হয়েছে। চক্রান্ত চলছে। সেই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।’

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক শোকসভা ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘দেশ-জাতি আজকে বড় বিপদের সামনে পড়েছে। এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ একটা দুঃসময়ের মধ্যে আছে। আজকে মুক্তিযুদ্ধ যখন সবচেয়ে দুঃসময়ে পড়েছে, এই সময়ে আমি আঙুল সোজা করে বলতে চাই, সবকিছু দেব, মুক্তিযুদ্ধ আমি কাউকে দেব না।

মাথা উঁচু করে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে আমি কোনো দিন হারিয়ে যেতে দেব না, সে যে-ই হোক। আমি লাভ চাই না, লোভ চাই না, ক্ষমতা চাই না, অর্থ চাই না, বিত্ত চাই না, জীবন চাই না, চাই শুধু বাঙালি জাতির একটা স্বাধীন রাষ্ট্র থাকবে, যে রাষ্ট্রটা আমরা যুদ্ধ করে সৃষ্টি করেছিলাম। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মানি না মানে মা-কে মানি না। বাঙালি জাতির মা হলো মুক্তিযুদ্ধ।’

গত ১৫ বছরের দমন-পীড়ন প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরের পর বছর আমি দেশে আসতে পারিনি। আবদুল হামিদ আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আমার মা-বাবার কবরে গিয়ে মোনাজাত পড়তে দেয়নি। ঈদের দিন আমি দেশে আসতে পারিনি। আমাকে নির্বাসনে রেখেছে আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে আমাকে জেলখানায় রেখেছে।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমি কোথায় আর আবদুল হামিদ কোথায় একটু বিচার করেন তো আপনারা। আল্লাহ কার পক্ষে আপনারা দেখেন। এখন জামায়াতে ইসলামীর করুণা নিয়ে আবদুল হামিদকে বেঁচে থাকতে হয়। তার শালা জিহাদ খান এখন করিমগঞ্জ-তাড়াইলের জামায়াতে ইসলামীর ক্যান্ডিডেট।

গোলাম আযমের ছেলে আযমীর করুণা নিয়ে আর জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের দোয়া নিয়ে তাকে সরকারকে বাধ্য করে বিদেশ যেতে হয় এবং আসতে হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হামিদেরা এখন জামায়াতে ইসলামীর করুণায় বাংলাদেশে বেঁচে আছে। এদের থুতু দিতে হয়।’

ফজলুর রহমান যোগ করে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর করুণা নিয়ে এক সেকেন্ড পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই না, না, না, না। আমি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের করুণা নিয়ে এ দেশে বাঁচতে চাই না।’

ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘আজকে দেশ কোন দিকে গেছে দেখেন। আমি বলেছিলাম, ছয় দিন টাইম চেয়ে আপনি এক ঘণ্টা টাইম দিলেন না ইউনূস সাহেব। এখন এমন হইছে যে ১৫ ঘণ্টা প্লেন চালাইয়া লন্ডন গেছেন। গিয়ে আবার বুঝ করে আসছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দেবেন। আলহামদুলিল্লাহ। আমি আর গণ্ডগোল করতে চাই না। জীবনে আর ফাইট করতে চাই না। আপনি শেষ করেন। কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন না কেন?’

চৌগাংগা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তোফায়েল আহমেদ তোতা মিয়ার সভাপতিত্বে শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন–জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন মীর, যুগ্ম সম্পাদক পলাশ রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

বিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত

মন্ত্রীর আত্মীয়তাই ‘যোগ্যতা’

আদানিকে আরও ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ, মোট পরিশোধ ১.৫ বিলিয়ন

অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত