Ajker Patrika

কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই, কোথাও বড় ছাড়েও ক্রেতার খরা

অর্চি হক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ২৫
কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই, কোথাও বড় ছাড়েও ক্রেতার খরা

‘পঞ্চাশ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিয়াও সারা দিনে পাঁচটা ড্রেস বেচতে পারলাম না। শোরুম ভর্তি মাল, কিননের মানুষ নাই’—ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর পুলিশ প্লাজা বিপণিবিতানের এক বিক্রেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিক্রেতা যখন পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় দিয়েও ক্রেতা টানতে ব্যর্থ, তখন একই এলাকার আড়ংয়ের আউটলেটে উপচেপড়া ভিড়। 

ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকায় তাপদাহ আর তীব্র যানজট উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি, পান্থপথ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনশ্রী ও গুলশান এলাকার অভিজাত বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, নামী ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ব্র্যান্ড বা ননব্র‍্যান্ডের দোকানে ভিড় কম। 

আড়ংয়ের গুলশান লিংকরোড শাখায় আসা শামীমা সুলতানা বলেন, ‘আসাদগেট আর সায়েন্স ল্যাবের আড়ংয়ে প্রচণ্ড ভিড়। জামা কাপড় ভালো করে দেখা যায় না। মোহাম্মদপুর থেকে এখানে আসছি কেনাকাটা করতে। এখানেও ভিড়।’ 

সাব্বির আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা জানান, গ্রামের বাড়িতে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের জন্য ঈদের উপহার কিনতে এসেছেন তিনি। আড়ং ব্র্যান্ডটা শহর গ্রাম সবার কাছে সমান পরিচিত থাকায় এখান থেকেই কিনছেন।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেল, আড়ং, দেশীদশের মতো শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ে বিক্রয়কর্মীদের নাভিশ্বাস অবস্থা। দেশীদশের অঞ্জনসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্রয়কর্মী জানান, ছেলেদের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের কূর্তি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বসুন্ধরা সিটি বিপণিবিতানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অত্যধিক গরমে ক্রেতাদের মধ্যে হালকা আর আরামদায়ক পোশাকের চাহিদাটাই বেশি। তবে নারী ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই পার্টি গাউন খুঁজছেন। বাচ্চা মেয়েদের মধ্যে পার্টি ফ্রকের চাহিদা বেশি। 

নামী ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারাগুলশানের পুলিশ প্লাজা বিপণিবিতান ঘুরেও দেখা যায় পরিচিত ব্র্যান্ডের দোকানেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কাফরুল থেকে পুলিশ প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা হামিদা আক্তার জানান, কে ক্র্যাফটের শোরুম থেকে তিনটি পোশাক কিনেছেন তিনি। একই বিপণিবিতানে ৫০ শতাংশ ছাড়ের দোকান ছেড়ে কে ক্র্যাফট থেকে তিনটি পোশাক কেনার কারণ জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এই নারী বলেন, ‘কে ক্র্যাফট তো সবাই চেনে। ছোট বোন আর ননদের জন্য দুটো ড্রেস নিয়েছি। কে ক্র্যাফট দেখলে ওরা বুঝবে জিনিসটা ভালো।’ 

বনশ্রী মূল সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড় নেই বললেই চলে। বি ব্লকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সারা বছর আমরা ঈদের সময়টার জন্য বসে থাকি। এই সময়েও ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়ে বিশাল ছাড়ের ব্যানার টানাইছি। তবুও বিক্রি কম। তবে ক্রেতা সমাগম যেমনই থাকুক না কেন, দুই বছর পর এবার পুরো রমজান মাসজুড়ে দোকান খোলা রাখতে পারায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।’ আর ক্রেতারা বলছেন মাস জুড়ে দোকান খোলা থাকায় তারা ধীরেসুস্থে দেখে বুঝে কেনাকাটা করতে পারছেন। দুই বছরের করোনা আতঙ্কের পর এবার ঈদে এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ বলে মনে করছেন তারা। 

কেনাকাটা সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত