ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
২৫ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেসীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
২৫ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
২৫ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
২৫ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে