অনলাইন ডেস্ক
ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) আয়োজিত হাইকোর্টের জামিন পদদলিত করে জেলগেটে দুই বার পুনঃআটক, পাহাড়ে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার খবরদারি ও দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাসের কারাজীবনের বিবরণ তুলে ধরতে ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমার সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি, আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কুনেন্টু চাকমা ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি ছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিনজন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জারিকৃত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।
এ ছাড়াও তিনি গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন পাহাড়িকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা-সেটেলারদের গ্রেপ্তার ও বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান; ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট বিভিন্ন বাহিনীর যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসে জড়িতদের গ্রেপ্তার; খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিলপূর্বক সেনাশাসন প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি কুনেন্টু চাকমা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ-অবধি শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন, অমানুষিক নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতা-কর্মীকে কারাবন্দী হতে হয়েছে।
২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিসিপির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন রাঙামাটির কুতুকছড়ি এলাকা থেকে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আমাকে রাঙামাটি সেনা ব্রিগেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমার ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে সময় সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নির্যাতনের পর আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে পিসিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে জোর পূর্বকভাবে সেনাবাহিনীর নির্দেশিত স্বীকারোক্তিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিতে বাধ্য করে।’
প্রায় ৩২ মাস পরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন দেওয়া হলেও পরদিন আবারও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জামিনপত্র পাওয়ার পর বিকেল আনুমানিক ৫টায় কারাগারের কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নেওয়া হয়। রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কারাগারে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত হলে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে বের করে দেয়। কারাগার থেকে বের হয়ে দেখি কারাগারের ফটকের ভেতরে সিভিল ড্রেসে ৫-৬ জন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। তারপর তাঁরা আমাকে কারাফটক থেকে রাস্তায় নিয়ে যায়।’
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়িতে করে তাঁকে জেল থেকে আবারও রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমাকে সারা রাত চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি ছোট রুমে আটকে রেখে পরের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে বিকেলে আবারও অস্ত্রগুজে দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পুলিশ আমাকে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো কারাগারে প্রেরণ করে।’
ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) আয়োজিত হাইকোর্টের জামিন পদদলিত করে জেলগেটে দুই বার পুনঃআটক, পাহাড়ে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার খবরদারি ও দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাসের কারাজীবনের বিবরণ তুলে ধরতে ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমার সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অবিলম্বে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি কারাগারে আটক ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি, আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার বন্ধ এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কুনেন্টু চাকমা ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি ছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির পানছড়িতে তিনজন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জারিকৃত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ দফা নির্দেশনা বাতিল করতে হবে।
এ ছাড়াও তিনি গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন পাহাড়িকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা-সেটেলারদের গ্রেপ্তার ও বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান; ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সৃষ্ট বিভিন্ন বাহিনীর যারা খুন, গুম, অপহরণ ও সন্ত্রাসে জড়িতদের গ্রেপ্তার; খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানা গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অপারেশন উত্তরণ’ বাতিলপূর্বক সেনাশাসন প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি কুনেন্টু চাকমা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ-অবধি শাসকগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন, অমানুষিক নির্যাতন, হত্যার মতো ঘটনার শিকার হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বহু নেতা-কর্মীকে কারাবন্দী হতে হয়েছে।
২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিসিপির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন রাঙামাটির কুতুকছড়ি এলাকা থেকে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আমাকে রাঙামাটি সেনা ব্রিগেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমার ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে সময় সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নির্যাতনের পর আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে পিসিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে জোর পূর্বকভাবে সেনাবাহিনীর নির্দেশিত স্বীকারোক্তিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিতে বাধ্য করে।’
প্রায় ৩২ মাস পরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন দেওয়া হলেও পরদিন আবারও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জামিনপত্র পাওয়ার পর বিকেল আনুমানিক ৫টায় কারাগারের কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নেওয়া হয়। রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কারাগারে সেনা-গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত হলে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে বের করে দেয়। কারাগার থেকে বের হয়ে দেখি কারাগারের ফটকের ভেতরে সিভিল ড্রেসে ৫-৬ জন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। তারপর তাঁরা আমাকে কারাফটক থেকে রাস্তায় নিয়ে যায়।’
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়িতে করে তাঁকে জেল থেকে আবারও রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমাকে সারা রাত চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি ছোট রুমে আটকে রেখে পরের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে বিকেলে আবারও অস্ত্রগুজে দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পুলিশ আমাকে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো কারাগারে প্রেরণ করে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে