ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৭৯৫ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের সরকারি নিবন্ধন আইডি বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় সাময়িকভাবে ওই পরিষদের সরকারি নিবন্ধন অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে।
কয়েকজন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসব সনদ দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৭৯৫ জনকে জন্মনিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি শিগগিরই তদন্তকাজ শুরু করবেন।’
ইউনিয়ন পরিষদের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এই অবৈধ কাজে সহায়তাকারী পরিষদের উদ্যোক্তা নিজের দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছেন।
জেলার স্থানীয় সরকার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চরকাটারী ইউনিয়নে ৭৯৫ জনের অবৈধ জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়। গত ১০ মাসের মধ্যে হওয়া ওই জন্মনিবন্ধনগুলো বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরে জন্ম নিবন্ধনগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে চরকাটারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কম্পিউটারের কাজ তেমন বুঝি না। আমি টাচ মোবাইলটাও ভালো করে চালাতে পারি না। পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জলিল মণ্ডলের কাছে আমার জন্মনিবন্ধনের আইডির পাসওয়ার্ড থাকত। সেই সুযোগেই উদ্যোক্তা জলিল এ রকম অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমিও খুব বিপদে পড়ছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে উদ্যোক্তা মো. জলিল মণ্ডলকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তাঁর ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘শুনেছি সে অসুস্থ, ছুটিতে আছে।’
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উদ্যোক্তা জলিলকে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল, ওয়াজ উদ্দিন ও রহিম মিয়া বলেন, ‘৭৯৫ জনের যে জন্মনিবন্ধন হয়েছে, তারা কেউ আমাদের এলাকার বাসিন্দা না। চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তারা টাকার বিনিময়ে অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছেন।’
ইউপি সদস্য মো. জয়েদ আলী মোল্লা অভিযোগ করে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘৭৯৫ জনের অবৈধ এ জন্মনিবন্ধন হওয়ায় আমাদের চরাঞ্চলের মানুষের ক্ষতি হবে। এর দায় চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তার।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরকাটারী ইউনিয়নে দীর্ঘদিন কোনো সচিব ছিল না। উপজেলার পার্শ্ববর্তী বাচামারা ইউনিয়নের সচিব আলমগীর হোসেন এই ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ২০ অক্টোবর নতুন সচিব মো. সেলিম দায়িত্ব গ্রহণের পরই অবৈধ জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি সবার নজরে আসে এবং তিনি ইউএনওকে অবগত করেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান ও সচিবের নিবন্ধন আইডি বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করেছে, তবে এখনো তদন্ত–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি।’
আহসানুল আলম আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। যাচাই–বাছাই করে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৭৯৫ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের সরকারি নিবন্ধন আইডি বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় সাময়িকভাবে ওই পরিষদের সরকারি নিবন্ধন অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে।
কয়েকজন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসব সনদ দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৭৯৫ জনকে জন্মনিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি শিগগিরই তদন্তকাজ শুরু করবেন।’
ইউনিয়ন পরিষদের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এই অবৈধ কাজে সহায়তাকারী পরিষদের উদ্যোক্তা নিজের দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছেন।
জেলার স্থানীয় সরকার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চরকাটারী ইউনিয়নে ৭৯৫ জনের অবৈধ জন্মনিবন্ধন দেওয়া হয়। গত ১০ মাসের মধ্যে হওয়া ওই জন্মনিবন্ধনগুলো বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরে জন্ম নিবন্ধনগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে চরকাটারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কম্পিউটারের কাজ তেমন বুঝি না। আমি টাচ মোবাইলটাও ভালো করে চালাতে পারি না। পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জলিল মণ্ডলের কাছে আমার জন্মনিবন্ধনের আইডির পাসওয়ার্ড থাকত। সেই সুযোগেই উদ্যোক্তা জলিল এ রকম অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমিও খুব বিপদে পড়ছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে উদ্যোক্তা মো. জলিল মণ্ডলকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তাঁর ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘শুনেছি সে অসুস্থ, ছুটিতে আছে।’
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উদ্যোক্তা জলিলকে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল, ওয়াজ উদ্দিন ও রহিম মিয়া বলেন, ‘৭৯৫ জনের যে জন্মনিবন্ধন হয়েছে, তারা কেউ আমাদের এলাকার বাসিন্দা না। চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তারা টাকার বিনিময়ে অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছেন।’
ইউপি সদস্য মো. জয়েদ আলী মোল্লা অভিযোগ করে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘৭৯৫ জনের অবৈধ এ জন্মনিবন্ধন হওয়ায় আমাদের চরাঞ্চলের মানুষের ক্ষতি হবে। এর দায় চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তার।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরকাটারী ইউনিয়নে দীর্ঘদিন কোনো সচিব ছিল না। উপজেলার পার্শ্ববর্তী বাচামারা ইউনিয়নের সচিব আলমগীর হোসেন এই ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ২০ অক্টোবর নতুন সচিব মো. সেলিম দায়িত্ব গ্রহণের পরই অবৈধ জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি সবার নজরে আসে এবং তিনি ইউএনওকে অবগত করেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান ও সচিবের নিবন্ধন আইডি বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করেছে, তবে এখনো তদন্ত–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি।’
আহসানুল আলম আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। যাচাই–বাছাই করে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।’
সহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
১০ মিনিট আগেনাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় ধানের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারী মিলন হোসেন। আটকের পর তাদেরকে...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে মিরাজ হোসেন শান্ত নামে এক যুবলীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হাউজিং সরকারি আবাসিক এলাকার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে