Ajker Patrika

নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় খাল দখল, কৃষকদের প্রতিবাদ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 
লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজার এলাকায় অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার প্রতিবাদ ও খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। আজ রোববার সকালে তোরাবগঞ্জ মতিরহাট সড়কের তুলাতুলি-মুসারখালের দখল হয়ে যাওয়া অংশের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে ওই এলাকার শতাধিক কৃষক ও এলাকাবাসী অংশ নেন। এ সময় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য ও দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। অভিযুক্ত খাল দখলকারীর নাম ফারজানা আক্তার। তিনি মতিরহাট বাজার এলাকার মরহুম আবি আবদুল্লাহর মেয়ে।

জানা গেছে, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে তোরাবগঞ্জ পশ্চিম বাজারসংলগ্ন এলাকায় ফারজানা আক্তার খালের মাঝে পিলার দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করেন। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীর বাধার মুখে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আবার খালের মাঝখানে সিমেন্টের পিলার ও কাঠ দিয়ে প্রায় ১০ ফুট চওড়া ও ৪০ ফুট লম্বা করে খাল দখলে নেন। তখন স্থানীয়রা উপজেলা ভূমি অফিসকে অবগত করেন। পরবর্তী সময়ে ভূমি সার্ভেয়ার ও তহশিলদার এসে দখলে থাকা সিমেন্ট ও কাঠের সরঞ্জাম ভেঙে দখলমুক্ত করেন।

এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই ফারজানা আক্তার খালকে নিজের জায়গা দাবি করে খালের মাঝখানে আবার নতুনভাবে ৪টি আরসিসি পিলার তৈরি করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা আবার বাধা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া উপজেলা ভূমি অফিস গত মার্চে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফারজানার উপস্থিতিতে খালের সীমানা মেপে দখলের অংশ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি সেটাও অমান্য করে রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখেন।

লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরে অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমার কাগজপত্র সঠিক। আমি আমার জায়গায় দোকানঘর করছি। এসি ল্যান্ড কোনো কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন।’

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, ‘আমি সরেজমিনে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অবৈধভাবে গড়ে তোলা অংশের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু ফারজানা যেহেতু শোনেনি, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে আমরা খালের জায়গা উদ্ধার করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত