Ajker Patrika

লকডাউন পর্যবেক্ষণে উখিয়ায় জেলা প্রশাসক

প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার)
লকডাউন পর্যবেক্ষণে উখিয়ায় জেলা প্রশাসক

সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিনে কক্সবাজারের উখিয়ার অবস্থা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহর থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গাড়িবহর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন উখিয়ার কুতুপালং বাজারে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছে উখিয়া উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলমান লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা ব্যাপী লকডাউন বাস্তবায়নে সবার সমন্বিত উদ্যোগে কঠোর কর্ম তৎপরতা অব্যাহত আছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তা চলমান থাকবে।

৩২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলাজুড়ে কাজ করছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিধিনিষেধ অমান্য করায় গতকাল দ্বিতীয় দিনে জেলাজুড়ে ২১৪ মামলায় ২১৮ জন ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ১৬১ মামলায় ১৭২ জনের কাছ থেকে ৯১,৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

সেনাবাহিনীর দশ পদাতিক ডিভিশনের মেজর মোহাম্মদ আরিফ আহমেদ ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন। 

মেজর আরিফ বলেন, সেনাবাহিনীর দশ পদাতিক ডিভিশন সর্বাত্মক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে লকডাউন সার্থক করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে জেলা পুলিশ। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লকডাউন পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এপিবিএন এর তিনটি ইউনিট কাজ করছে। ক্যাম্পে থেকে বাইরে আসা রোহিঙ্গাদের অনেক ক্ষেত্রে আটক করা হচ্ছে, পাশাপাশি সতর্ক করে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।   

এদিকে সকাল থেকেই উপজেলার প্রধান সড়কগুলোতে ছিল সীমিত সংখ্যক যান চলাচল, জনসাধারণের উপস্থিতি ছিল কম। কাঁচাবাজার, মুদি ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও খোলেনি অন্য দোকান পাট, বিপণিবিতান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত