Ajker Patrika

দস্যুতা না ছাড়লে দুঃসংবাদের খবর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১৬: ২৯
দস্যুতা না ছাড়লে দুঃসংবাদের খবর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘জলদস্যুদের মধ্যে যারা এ পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবে, সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না।’ 

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পতেঙ্গা র‍্যাব-৭–এর সদর দপ্তরে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র–গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার ১২ জলদস্যু বাহিনীর ৫০ জন সদস্য। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সুন্দরবনে জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। 

‘ওই সব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা কখনো অত্যাচারিত বা নিপীড়িত হয়ে বাধ্য হয়ে এসব কাজে জড়িয়ে থাকে।’ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালীরাও তাদের বাধ্য করে এসব কাজে জড়াতে। জনগণের কাছে র‍্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র‍্যাবকে টাস্ক ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‍্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘দস্যুরা যাতে আর সে কাজে ফিরতে না পারে, সে জন্য তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আজ তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কেউ ব্যবসা করছে বা অন্য কাজ করছে। পাবনাতে ৬০০ ও সিরাজগঞ্জে ৩০০–র অধিক চরমপন্থী গ্রুপের সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরও সরকার সহযোগিতা করেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ও খুনের মামলা আছে তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করা হবে না। অন্য মামলাগুলো থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।’ 

অনুষ্ঠানে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেন, ‘আত্মসমর্পণের পর আমরা দস্যুদের দিকে খেয়াল রাখছি। যদি তারা পুনরায় আগের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সব সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের কথার বড় খেলাপ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, আমরা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।’ 

আইজিপি বলেন, ‘আজকে যারা আত্মসমর্পণ করছে, সবাইকে আমি স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানাই। এর আগে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করছি। সুন্দরবন থেকে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পেশার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’ 

চট্টগ্রাম র‍্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় গির্জার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীতে সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাঁকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ডিএমপি এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে। রাজধানীর সব গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আন্তধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ধর্মীয় সহাবস্থানে কোনোরূপ বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা হলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলা, কর্মকর্তাসহ আহত ৩

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খবর পেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ও পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান নির্বাচন কার্যালয়ে যান। এ সময় নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা এক কর্মী আমজাদ হোসেনের গায়ে আঘাত করেন। তখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এসে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এসে নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এ সময় তিনজন আহত হন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আজ সকালে হঠাৎ করে বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন অফিসারের ওপর হামলা করেন। তাঁরা স্টাফদের মারধর করেন। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। এ সময় নির্বাচন অফিসের বাইরেও শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সম্প্রতি অফিসের কিছু দালাল চক্র সুবিধা করতে পারছিল না। এ জন্য হামলা হতে পারে।

হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, ‘নির্বাচন অফিসার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমাদের কাছে অনেক ভুক্তভোগী বহুবার অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম স্থানীয় বাসিন্দাদের না ভোগানোর জন্য। অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম সেখানে। আমরা ভুক্তভোগীদের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। আমাদের কেউ তাঁদের ওপর হামলা করেনি।’

উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন অফিসের আমজাদ হোসেন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আমরা তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি।’

ইউএনও তুহিন হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের কাচের দরজা ভেঙেছে। একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার গায়ে আঘাত করার কারণে একটি মামলা করা হবে, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম, সরকারি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। যদি নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকত, তাহলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারত। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা বলেন, ‘আহত একজনকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উখিয়ায় বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সদরে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। ইতিমধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৫টা) আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা।

স্থানীয়দের বরাতে ডলার ত্রিপুরা বলেন, বিকেলে উখিয়া সদর স্টেশনের একরাম মার্কেটে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ২টি এবং কক্সবাজার স্টেশন থেকে ১টি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতিসহ ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে বলে জানান ডলার ত্রিপুরা।

এদিকে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাজেদুল ইমরান শাওন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুন্দরবনের দুবলার চরে বনদস্যুদের হাতে জেলে অপহৃত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুন্দরবনের দুবলার চরের লইট্রাখালী এলাকা থেকে হাফিজুল (৩৫) নামের এক জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু সুমন বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে তাঁকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুবলার চরের জেলেপল্লিতে বনদস্যু আতঙ্ক বেড়েছে।

অপহৃত জেলে হাফিজুল বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আফজাল হাওলাদারের ছেলে।

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ আজ দুপুরে জানান, হাফিজুলসহ অন্য জেলেরা গতকাল রোববার রাতে দুবলার চরের কাছে লইট্রাখালী খালে মাছ ধরতে যান। গতকাল দিবাগত ভোররাত ৩টার দিকে বনদস্যু সুমন বাহিনী একটি ট্রলারে করে এসে জেলে হাফিজুলকে তাদের ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বনদস্যুরা হাফিজুলের ট্রলারের মাঝি শাহিনকে বনদস্যুদের সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে যায়। সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যুদের অপতৎপরতায় দুবলার চরের জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে কামাল উদ্দিন জানান।

জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মিল্টন রায় বলেন, বনদস্যুদের হাতে অপহৃত জেলে হাফিজুল দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি থেকে মাছ ধরার পাস নিয়ে সুন্দরবনের খালে গিয়ে দস্যুদের কবলে পড়েছেন। বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে। অচিরেই বনদস্যু দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে ফরেস্ট রেঞ্জার জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত