Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞার পর সরগরম হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের মাছঘাটগুলো 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ১৭
নিষেধাজ্ঞার পর সরগরম হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের মাছঘাটগুলো 

নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরা পুরোদমে শুরু হয়েছে। মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও আড়তদারেরা। প্রতিটি ঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা বেড়ে গেছে। তবে প্রতিটি মা মাছে ডিম রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জাল ফেলা ও মাছ শিকারে নদীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম। 

আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীহাট, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, লুধুয়া ও নাছিরগঞ্জ মাছঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম রয়েছে মাছঘাট। জেলেরা ঘাটে ইলিশ নিয়ে এসে তা বাজারে বিক্রি করছেন। সবার চোখে-মুখে আনন্দ বিরাজ করছে। একই চিত্র রামগতির চেয়ারম্যানঘাট, বড়খেরী, চর আলেকজান্ডার, বাংলাবাজার, জনতাবাজার, চরকালকিনি, সাজু মোল্লারহাট, আলতাফ মাস্টারের ঘাটসহ ১৬টি ঘাটের। 

জানা যায়, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুতকরণ বন্ধ ছিল। এই জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪২ হাজার জেলে রয়েছেন নিবন্ধিত। তাঁরা সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাকি জেলেরা নিবন্ধিত না হওয়ায় সরকারের খাদ্যসহায়তার বাইরে রয়েছেন। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলেরা। 
 
নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে লক্ষ্মীপুরে ৩০০ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৫ লাখ টন জাল ও ৫০টি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া ২৫ জন জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা অর্থদণ্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য বিভাগ। 

মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও আড়তদারেরামজুচৌধুরীহাটের কয়েকজন জেলে জানান, গত ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামেননি। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর নদীতে মাছ শিকারে নামছেন জেলেরা। আগের তুলনায় জালে ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। দামও অনেক ভালো। এতে তাঁরা অনেক খুশি। 

জেলেরা দাবি জানিয়ে বলেন, যথাসময় অভিযান না দেওয়ায় মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারেনি। এ কারণে মাছে ডিম রয়েছে। এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার হাজার টাকায়। আর এক কেজি ওজনের নিচে এক হালি মাছ বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। 
 
এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে তাঁরা অনেক খুশি। গত বছর শীতে প্রচুর মাছ পাওয়া গেছে। এবারও সে অনুযায়ী মাছ আরও বেশি ধরা পড়বে বলে আশা করেন তিনি। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার টন। গত বছর ইলিশ উৎপাদন হয় ২০ হাজার ৮০০ টন। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত