Ajker Patrika

৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন ওবায়দুল কাদের

নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন ওবায়দুল কাদের

২০১৯ সাল থেকে দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস পর নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁর আগমনকে ঘিরে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তা।

আজ বুধবার বিকেলে মন্ত্রীর আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।’ 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাড়ির সামনে গার্ড অব অনার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ মঞ্চস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’ 

জানা যায়, গত ৩৩ মাস আগে (২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট) তিনি সর্বশেষ নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা) এসেছিলেন। তারপর তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় আর আসেননি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁরই ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পরে বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উপজেলা বীর উত্তম নূরুল হক ডাক বাংলোতে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে সেতুমন্ত্রীর। এ ছাড়াও কবিরহাট উপজেলার ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গেও তিনি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। 

প্রসঙ্গত, গত দেড় বছর নানা ঘটনায় সমালোচনায় পড়তে হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে। আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সংগঠনের ভেতর থেকেই। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বারবার খারাপ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন মেয়র। সংগঠন পড়েছে নাজুক অবস্থায়। স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর বিরোধী অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল। তাঁর মূলত খুঁটি হচ্ছে কাদের মির্জার আপন তিন ভাগনে। বাদল ও ভাগনেদের বিরুদ্ধেও কাদের মির্জা নানা অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তারই আপন তিন ভাগনে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সিরাজিস সালেকিন রিমন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত