ইফতিয়াজ নুর নিশান, (উখিয়া) কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে গেছে ৩০টি ঘর ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি মাদ্রাসা। ২০২২ সাল শুরু হওয়ার পর চলতি জানুয়ারির ১৮ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এই নিয়ে তৃতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-২ ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক ঘণ্টা পর স্থানীয় রোহিঙ্গা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত একজন কর্মকর্তা জানান, ‘খবর পেয়ে আমাদের তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
ক্যাম্প প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ১৩৬ জন রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে। যাদের ২৭টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, ২টি ঘর ও ১টি মাদ্রাসা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও অগ্নিদুর্গত রোহিঙ্গা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে ঘর হারানো ওয়াজিদ (৭০) নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমরা ঘরের সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। আগুন লাগার পর চিৎকার শুনে কোনো রকমে বেরিয়ে পড়ি। এত রাতে কীভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না, হতে পারে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে।’
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা না গেলেও দুর্বৃত্তরা এই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন ধারণা থেকে আমরা অনুসন্ধান করছি। কোনো দুষ্কৃতকারী শনাক্ত হলে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
অগ্নিদুর্গত ব্যক্তিদের বাসস্থান, খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে, ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ৬০০ ঘর। তার আগে এ বছরের ২ জানুয়ারি ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত একটি বিশেষায়িত হাসপাতালেও আগুন লাগে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাসপাতালটির ৭০ শয্যা।
শফিউল্লাহ কাটার অগ্নিকাণ্ড গ্যাসের চুলা থেকে হয়েছে এমন দাবি ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা করলেও ওই অগ্নিকাণ্ডসহ সোমবার মধ্যরাতের অগ্নিকাণ্ড এবং হাসপাতাল পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ক্যাম্পকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা বলছে অনেক সাধারণ রোহিঙ্গা।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত তরুণ মোহাম্মদ আমিন (২৬) বলেন, ‘আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না, বারবার আগুনের ঘটনা ঘটছে। ক্যাম্পকে অশান্ত করতে একটি চক্র বারবার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন লাগাচ্ছে, জানি না কখন এই আতঙ্ক শেষ হবে।’
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে। গত বছর ২২ মার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন ক্যাম্পের ১০ হাজার ঘর পুড়ে যায়, ওই বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে।
রোহিঙ্গা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে গেছে ৩০টি ঘর ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি মাদ্রাসা। ২০২২ সাল শুরু হওয়ার পর চলতি জানুয়ারির ১৮ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এই নিয়ে তৃতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-২ ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এক ঘণ্টা পর স্থানীয় রোহিঙ্গা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত একজন কর্মকর্তা জানান, ‘খবর পেয়ে আমাদের তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
ক্যাম্প প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ১৩৬ জন রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে। যাদের ২৭টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, ২টি ঘর ও ১টি মাদ্রাসা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও অগ্নিদুর্গত রোহিঙ্গা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে ঘর হারানো ওয়াজিদ (৭০) নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমরা ঘরের সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। আগুন লাগার পর চিৎকার শুনে কোনো রকমে বেরিয়ে পড়ি। এত রাতে কীভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না, হতে পারে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে।’
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা না গেলেও দুর্বৃত্তরা এই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে এমন ধারণা থেকে আমরা অনুসন্ধান করছি। কোনো দুষ্কৃতকারী শনাক্ত হলে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
অগ্নিদুর্গত ব্যক্তিদের বাসস্থান, খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে, ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ৬০০ ঘর। তার আগে এ বছরের ২ জানুয়ারি ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত একটি বিশেষায়িত হাসপাতালেও আগুন লাগে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাসপাতালটির ৭০ শয্যা।
শফিউল্লাহ কাটার অগ্নিকাণ্ড গ্যাসের চুলা থেকে হয়েছে এমন দাবি ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা করলেও ওই অগ্নিকাণ্ডসহ সোমবার মধ্যরাতের অগ্নিকাণ্ড এবং হাসপাতাল পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ক্যাম্পকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা বলছে অনেক সাধারণ রোহিঙ্গা।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত তরুণ মোহাম্মদ আমিন (২৬) বলেন, ‘আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না, বারবার আগুনের ঘটনা ঘটছে। ক্যাম্পকে অশান্ত করতে একটি চক্র বারবার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন লাগাচ্ছে, জানি না কখন এই আতঙ্ক শেষ হবে।’
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে। গত বছর ২২ মার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন ক্যাম্পের ১০ হাজার ঘর পুড়ে যায়, ওই বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে।
রোহিঙ্গা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সচিবালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতেরা। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা এ বিক্ষোভ শুরু করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহীদদের হত্যাকারীদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
১১ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সকল স্কুল-কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত মোবাইল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪২ মিনিট আগেমহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। এমন আইনের ধারা সম্বলিত লেখা সাইটনবোর্ডের সাথেই নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গত দুই দিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সংলগ্ন
১ ঘণ্টা আগে