Ajker Patrika

লক্ষণ্যা পাড়ায় স্কুল না থাকায় নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে শিশুরা

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৯
লক্ষণ্যা পাড়ায় স্কুল না থাকায় নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে শিশুরা

রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নের লক্ষণ্যা ও আশপাশের পাড়া-গ্রামে ৫০ পরিবারের বসবাস। তবে এই গ্রামের ৪ থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। স্কুলে যেতে শিশুদের এই দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পেরোতে হয়; বর্ষাকালে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। সব মিলে এই এলাকার শিশুদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অনেকেই নিরক্ষর থেকে যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের পড়াশোনার স্বার্থে এলাকায় একটি স্কুল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে লক্ষণ্যা পাড়াবাসী।

গ্রামপ্রধান জ্ঞাননন্দ চাকমা বলেন, `আমাদের একটা স্কুল খুবই দরকার। অন্তত ইউনিসেফের পাড়া কেন্দ্র হলেও চলবে। পাহাড়ি পথে বড়রাই ঠিকমতো চলতে পারে না, সেখানে বাচ্চাদের আরও বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পথের দূরত্ব বেশি হওয়ায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। এতে শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।'

ওই গ্রামের গীতা চাকমা (৩০) বলেন, `আমার ছেলে স্কুলে যাওয়ার উপযোগী হয়েছে। কিন্তু স্কুল অনেক দূরে হওয়ায় যেতে পারছে না। আমাদের গ্রামে একটি স্কুল খুবই দরকার। পাড়া কেন্দ্র হলেও চলবে। অন্তত অ আ জানবে। আমরা গ্রামবাসী মিলে একজন শিক্ষক রেখেছি। কিন্তু ছেলেমেয়ে বেশি হওয়ায় একজন যথেষ্ট নয়। স্কুল হলে আরও ভালো হয়।'

শিক্ষার আলো থেকে দূরে বালুখালীর লক্ষণ্যা পাড়ার শিশুরাগৃহশিক্ষক প্রদীপ চাকমা বলেন, গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে না গিয়ে হেলায় দিন পার করছে। বর্তমান সরকার সম্প্রতি ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে। দেশে আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে লক্ষণ্যা পাড়ার মতো রাঙামাটির শত শত এলাকার শিশুর শিক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

লক্ষণ্যা পাড়া গ্রামে স্কুলের সংকটের কথা স্বীকার করে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, `এসব এলাকায় স্কুল স্থাপন করা দরকার। না হলে আমাদের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে।' লক্ষণ্যা পাড়ার মতো আরও অনেক পাড়ায় স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ সুপারিশ চাওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, `বর্তমান সরকারের এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে পাহাড়ের শিশুদের পড়াশোনার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এসব এলাকার শিশুরা নিরক্ষরতা সরকারের অর্জনকে পেছনে টানবে। পাহাড়ে অনেক এলাকা এখনো অন্ধকারে আছে। ওই সব এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করা, সেগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া ও বেতনের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি। না হলে আমরা এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

বুড়িগঙ্গা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ১৪ হাজার টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত