চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পোলট্রি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের মিয়ারবাজারে একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়া আক্তার জানান, উজিরপুর ইউনিয়নের শিবেরবাজার এলাকায় বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম ও মীর হোসেনের ১০-১২ বছর ধরে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলছে। মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে অনেকদিন ধরে রফিকুল ইসলামেরা ইব্রাহিম খলিলকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১১ নভেম্বর সকালে রাবেয়া আক্তারকে এলাকার লোকজন জানান, ধানখেতে ইব্রাহিম খলিলের মরদেহ পড়ে আছে।
লিখিত বক্তব্যে রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে শিবের বাজার এলাকায় একটি বউ-ভাতের রান্নার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে ইব্রাহিম খলিল বলে, “যে জমি নিয়ে বিরোধ সেখানে রফিকুল ইসলামসহ ৫-৬ জন লোক ঘোরাঘুরি করতেছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে। ” এ কথা বলে ইব্রাহিম খলিল প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে বের হয়ে যায়। পরদিন ১১ নভেম্বর শনিবার ভোর ৬টায় শিবপুর গ্রামে আমাদের ধানের জমিতে ইব্রাহিম খলিলকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাই। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি ইব্রাহিম খলিলকে মৃত ঘোষণা করেন।”
রাবেয়া আক্তার আরও বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে ইব্রাহিম খলিলের লাশ উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে যান। আশঙ্কা প্রকাশ করছি, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইব্রাহিম খলিলকে রফিকুল ইসলাম গং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ জমিতে রেখে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ যখন ইব্রাহিম খলিলের লাশ উদ্ধার করতে বাড়িতে পৌঁছে তখনই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকা রফিকুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। আজও পর্যন্ত তাঁকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী আবুল হাসেম, তাঁর ছেলে হুমায়ন কবির, মৃত আবদুল মমিনের ছেলে শাহ আলম মিয়া, জহির মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।’
রাবেয়া আক্তার আরও বলেন, ‘লাশ উদ্ধার শেষে থানা-পুলিশ আমাকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে যায় এবং একটি লিখিত কাগজে সই করতে বলে। স্বামীর মৃত্যুর শোকে কাতর থাকায় থানায় তৈরি করে দেওয়া লিখিত কাগজটি পড়ে দেখেনি। সরল বিশ্বাসে ওই কাগজে সই করি। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। আমার স্বামীর অপমৃত্যু হয়নি। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকার, আদালত ও প্রশাসনের কাছে আমি স্বামীর মৃত্যুর ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম খলিলের মা অজিফা বেগম, ছোট ভাই রোমান উদ্দিন, বোন আলেয়া আক্তার, ভাবি মনোয়ারা বেগম, রোজিনা বেগম, রুবি আক্তার, সীমা আক্তার, নৌশিন শাওন, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম, শ্যালক সোহেল, জালাল মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি। তাঁর ভাই বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম কিংবা আমাদের পরিবারের সঙ্গে ইব্রাহিম খলিলের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই কিংবা তাঁরাও আমাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে আসি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানোর আগে তাঁর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ২০-২৫ জন লোক এসে আমাকে অনুরোধ করেন বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে। স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলে, “আমার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তাহলে আপনারা কেন লাশ ময়নাতদন্ত করবেন। তখন তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। ” আমি নিয়ম অনুযায়ী লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। সেখানে যদি হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অপমৃত্যুর মামলা নিয়মিত মামলা হিসেবে পরিণত হবে।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পোলট্রি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিলের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের মিয়ারবাজারে একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়া আক্তার জানান, উজিরপুর ইউনিয়নের শিবেরবাজার এলাকায় বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম ও মীর হোসেনের ১০-১২ বছর ধরে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলছে। মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে অনেকদিন ধরে রফিকুল ইসলামেরা ইব্রাহিম খলিলকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১১ নভেম্বর সকালে রাবেয়া আক্তারকে এলাকার লোকজন জানান, ধানখেতে ইব্রাহিম খলিলের মরদেহ পড়ে আছে।
লিখিত বক্তব্যে রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘গত ১০ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে শিবের বাজার এলাকায় একটি বউ-ভাতের রান্নার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে ইব্রাহিম খলিল বলে, “যে জমি নিয়ে বিরোধ সেখানে রফিকুল ইসলামসহ ৫-৬ জন লোক ঘোরাঘুরি করতেছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে। ” এ কথা বলে ইব্রাহিম খলিল প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে বের হয়ে যায়। পরদিন ১১ নভেম্বর শনিবার ভোর ৬টায় শিবপুর গ্রামে আমাদের ধানের জমিতে ইব্রাহিম খলিলকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাই। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি ইব্রাহিম খলিলকে মৃত ঘোষণা করেন।”
রাবেয়া আক্তার আরও বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে ইব্রাহিম খলিলের লাশ উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে যান। আশঙ্কা প্রকাশ করছি, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইব্রাহিম খলিলকে রফিকুল ইসলাম গং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ জমিতে রেখে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ যখন ইব্রাহিম খলিলের লাশ উদ্ধার করতে বাড়িতে পৌঁছে তখনই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকা রফিকুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। আজও পর্যন্ত তাঁকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী আবুল হাসেম, তাঁর ছেলে হুমায়ন কবির, মৃত আবদুল মমিনের ছেলে শাহ আলম মিয়া, জহির মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।’
রাবেয়া আক্তার আরও বলেন, ‘লাশ উদ্ধার শেষে থানা-পুলিশ আমাকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে যায় এবং একটি লিখিত কাগজে সই করতে বলে। স্বামীর মৃত্যুর শোকে কাতর থাকায় থানায় তৈরি করে দেওয়া লিখিত কাগজটি পড়ে দেখেনি। সরল বিশ্বাসে ওই কাগজে সই করি। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। আমার স্বামীর অপমৃত্যু হয়নি। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকার, আদালত ও প্রশাসনের কাছে আমি স্বামীর মৃত্যুর ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম খলিলের মা অজিফা বেগম, ছোট ভাই রোমান উদ্দিন, বোন আলেয়া আক্তার, ভাবি মনোয়ারা বেগম, রোজিনা বেগম, রুবি আক্তার, সীমা আক্তার, নৌশিন শাওন, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম, শ্যালক সোহেল, জালাল মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি। তাঁর ভাই বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম কিংবা আমাদের পরিবারের সঙ্গে ইব্রাহিম খলিলের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই কিংবা তাঁরাও আমাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে আসি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানোর আগে তাঁর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ২০-২৫ জন লোক এসে আমাকে অনুরোধ করেন বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে। স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলে, “আমার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তাহলে আপনারা কেন লাশ ময়নাতদন্ত করবেন। তখন তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। ” আমি নিয়ম অনুযায়ী লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। সেখানে যদি হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অপমৃত্যুর মামলা নিয়মিত মামলা হিসেবে পরিণত হবে।’
মধ্যনগর উপজেলার কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিন তালুকদার রব রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি।
১০ মিনিট আগেরাজধানীর মগবাজারের দিলু রোড এলাকায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) শিশুর নানা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৩ মিনিট আগেমাদকের সংঘাতে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে মোহাম্মদপুরে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের আবাসস্থল জেনিভা ক্যাম্প। মাদকের ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টানা পাঁচ দিন ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
২৫ মিনিট আগেফরিদপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনেরা। আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন
৩৯ মিনিট আগে