Ajker Patrika

হাতিয়ায় জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৫৫
হাতিয়ায় জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত

মৌসুমি আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া, তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রবল জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে চানন্দীর দুটি, নলচিরার একটি ও নিঝুম দ্বীপের সবগুলো ওয়ার্ড। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ইউনিয়নগুলোর কয়েক হাজার মানুষ।

আজ রোববার সকালের প্লাবিত হয় এলাকাগুলো। এর আগে গতকাল শনিবার প্রচণ্ড বাতাস ও জোয়ারে কারণে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইচরা, পশ্চিম সোনাদিয়া, তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া, চরইশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রাম ও চরকিং ইউনিয়নের চরবগুলা গ্রামের বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে পানি ঢুকে যায়। এ ছাড়া চতুর্থ দিনেও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় দ্বীপের নলচিরা, ডালচর ও চরগাসিয়ার নিম্নাঞ্চল। আজও ওই সব এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে আছেন। ফলে প্লাবিত এলাকাগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলসহ ছোটখাটো কয়েকটি যানবাহন চললেও পানিতে ডুবে সেগুলো বিকল হয়ে যাচ্ছে।

পূর্ণিমার জোয়ারে বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এর আগে গত বুধবার থেকে প্রতিদিন দিনে ও রাতে দুবার করে ওই সব এলাকা জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতেন নিচু এলাকায় বসবাসকারী লোকজন। একবার জোয়ার এলে চার-পাঁচ ঘণ্টা তলিয়ে থাকে। আবার ভাটার সময় নেমে যায়। 

এ বিষয়ে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন বলেন, ‘নিঝুম দ্বীপে জোয়ারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের বীজতলা। কিছুদিন আগে লাগানো বীজতলা চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খেতে থাকা ধানের চারা। নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় অতিরিক্ত জোয়ার হলেই মাঠঘাট ডুবে যায়।’

জোয়ারের পানি ঘরের মধ্যে ঢুকে গেছে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ, নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা ও চরাঞ্চল তিন-চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করে তালিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। পরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত