Ajker Patrika

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো জাহাজভাঙা কারখানা, পরে দুই হাজার গাছের চারা রোপণ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
সীতাকুণ্ডে কোহিনূর স্টিল নামে জাহাজভাঙা কারখানায় সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে খালি জায়গায় গাছের চারা রোপণ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
সীতাকুণ্ডে কোহিনূর স্টিল নামে জাহাজভাঙা কারখানায় সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে খালি জায়গায় গাছের চারা রোপণ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানায় সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে খালি জায়গায় দুই হাজার গাছের চারা লাগানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজা কাসেমের মালিকানাধীন কোহিনূর স্টিল নামে জাহাজভাঙা কারখানায় দ্বিতীয় দফা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সেখানে সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিকেলে সেখানে তিন জাতের গাছের চারা রোপণ করেন বন বিভাগের কর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান।

ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, জাহাজভাঙা কারখানাটিতে পরপর দুই দফা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সবকটি স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে উচ্ছেদ করা খালি জায়গায় বন বিভাগের আনা গাছের চারা রোপণ করেছেন তাঁরা।

রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, উপকূল রক্ষার্থে ১৯৮০/৯০ সালে বন বিভাগের উদ্যোগে ঝাউ, করঞ্জা ও হিজলের গাছ লাগানো হয়। কিন্তু কোহিনূর স্টিল নামে এ জাহাজভাঙা কারখানাটি গড়ে তোলার সময় রাতের আঁধারে ৪ থেকে ৫ হাজার গাছ কেটে সাবাড় করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুই দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ এ জাহাজভাঙা কারখানার সবকটি স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানে খালি হওয়া এসব জায়গায় তাঁরা ঝাউ, করঞ্জা ও হিজলের দুই হাজার চারা লাগিয়েছেন। উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষার্থে পর্যায়ক্রমে এখানে আরও গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত