মারুফ কিবরিয়া ও দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা থেকে
গতকাল মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকেল। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকাজুড়ে মানুষের ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততার মধ্যেও নজর কাড়ল চারপাশের মাইকিং। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে রাস্তার একদিকে ছুটছে নৌকা প্রতীকের প্রচারকারী দল, অন্যদিকে টেবিলঘড়ির প্রচার। আবার কিছু দূর থেকেই শোনা যাচ্ছে ঘোড়া প্রতীকের প্রচার মাইকের শব্দ। বিভিন্ন প্রতীক পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার মাইকও ছুটছে সমানতালে। যেন এক উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে কুমিল্লা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বেশ স্বাভাবিক। সংঘাত সৃষ্টির মতো কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। তবে এমন উৎসবের আমেজ শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কাহীন নয় কেউ।
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোট। ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। তবে সর্বস্তরের ভোটার এখনো এই যন্ত্রের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। কেউ কেউ জানেন না ইভিএমে ভোট কীভাবে দিতে হয়, আবার কারও মনে ভয়, ভোট দিলেও সঠিক প্রতীকে ভোট পড়বে কি না। গতকাল বিকেলে নগরীর নানা স্তরের মানুষের সঙ্গে আলাপে ভোট নিয়ে একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
কান্দিরপাড় রাণীরবাজার রোড এলাকায় কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমানুল্লাহর সঙ্গে। তিনি জানান, আগে কখনো ইভিএমে ভোট দেননি। ইভিএমে ভোট কীভাবে দিতে হয় তা-ও জানেন না। তাই একটু টেনশন হচ্ছে। একই এলাকার আরেক নারী ভোটার নুরজাহান বেগম বলেন, ‘আগে তো কাগজে (ব্যালটে) ভোট দিছি। মেশিনে কীভাবে ভোট দেয়। শুনছি, মেশিনে এক মার্কার ভোট আরেক মার্কায় চলে যায়। এটা কি ঠিক? তাইলে তো ভোট দিয়া লাভ নাই।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ এবারই নতুন ভোট দেবেন। তিনি জানান, ইভিএম নিয়ে অনেক জানার চেষ্টা করছেন। প্রথম ভোটটা যেন ঠিকঠাকভাবে দিতে পারেন, সে জন্য ইউটিউব থেকেও শিখছেন তিনি। ফয়সাল বলেন, ‘আমার প্রথম ভোট বলে এত জানার চেষ্টা করছি। ভয় হচ্ছে, ভোটের দিন ঠিকভাবে ভোট দিতে পারব কি না। খবরে দেখলাম, ইভিএমে ভোট দিতে গেলে নাকি আঙুলের ছাপ মেলে না। আমারটা যদি না মিলে তাহলে তো প্রথম ভোট দিতে পারব না।’
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর (গন্ধমতি) এলাকার বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। মেশিনে ক্লিক করলেই ছবি চলে আসবে, জাল ভোটের কোনো সুযোগ নেই।’ নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকতলা এলাকার ভোটার সুমন মিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভোটের খবর টিভিতে দেখেছি। অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেন নাই। মেশিন নাকি স্লো হয়ে যায়। কুমিল্লাতেও যদি এমন হয়, তাহলে তো আমরা সবাই ভোট দিতে পারব না।’ সেই সঙ্গে বয়স্কদের জন্য আরও সমস্যা হবে বলেও মনে করেন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে না। এটা বড় একটা সমস্যা। ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে অনেকেই ভোট দিতে পারবেন না।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন ঘিরে এত উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝে মানুষের মনে ইভিএম নিয়ে এমন চাপা শঙ্কা দূর করতে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে আগেই ইভিএমের সঙ্গে ভোটারদের পরিচিত করে তুলছে নির্বাচন কমিশন। কীভাবে এই যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে, তা নিয়ে চালানো হচ্ছে প্রচার। ইভিএমে ভোট নিয়ে ভয়ভীতি দূর করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ভোটারদের যে শঙ্কা, তা দূর করার জন্য আগে থেকেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করা হচ্ছে। যাঁদের আঙুলের ছাপ মিলবে না, তার জন্য প্রিসাইডিং অফিসার তো আছেনই।
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ প্রত্যাশা করছে কুসিকের প্রার্থী ও ভোটাররা। তাই আমরা এ বিষয়ে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করি, এ ভোট হবে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।’ রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘কুসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় প্রশাসন সব দিক থেকে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আশা করি, ভোটের পরিবেশ ভালো থাকবে।’
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
গতকাল মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকেল। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকাজুড়ে মানুষের ব্যস্ততা। এই ব্যস্ততার মধ্যেও নজর কাড়ল চারপাশের মাইকিং। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে রাস্তার একদিকে ছুটছে নৌকা প্রতীকের প্রচারকারী দল, অন্যদিকে টেবিলঘড়ির প্রচার। আবার কিছু দূর থেকেই শোনা যাচ্ছে ঘোড়া প্রতীকের প্রচার মাইকের শব্দ। বিভিন্ন প্রতীক পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার মাইকও ছুটছে সমানতালে। যেন এক উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে কুমিল্লা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বেশ স্বাভাবিক। সংঘাত সৃষ্টির মতো কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। তবে এমন উৎসবের আমেজ শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কাহীন নয় কেউ।
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোট। ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। তবে সর্বস্তরের ভোটার এখনো এই যন্ত্রের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। কেউ কেউ জানেন না ইভিএমে ভোট কীভাবে দিতে হয়, আবার কারও মনে ভয়, ভোট দিলেও সঠিক প্রতীকে ভোট পড়বে কি না। গতকাল বিকেলে নগরীর নানা স্তরের মানুষের সঙ্গে আলাপে ভোট নিয়ে একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
কান্দিরপাড় রাণীরবাজার রোড এলাকায় কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমানুল্লাহর সঙ্গে। তিনি জানান, আগে কখনো ইভিএমে ভোট দেননি। ইভিএমে ভোট কীভাবে দিতে হয় তা-ও জানেন না। তাই একটু টেনশন হচ্ছে। একই এলাকার আরেক নারী ভোটার নুরজাহান বেগম বলেন, ‘আগে তো কাগজে (ব্যালটে) ভোট দিছি। মেশিনে কীভাবে ভোট দেয়। শুনছি, মেশিনে এক মার্কার ভোট আরেক মার্কায় চলে যায়। এটা কি ঠিক? তাইলে তো ভোট দিয়া লাভ নাই।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ এবারই নতুন ভোট দেবেন। তিনি জানান, ইভিএম নিয়ে অনেক জানার চেষ্টা করছেন। প্রথম ভোটটা যেন ঠিকঠাকভাবে দিতে পারেন, সে জন্য ইউটিউব থেকেও শিখছেন তিনি। ফয়সাল বলেন, ‘আমার প্রথম ভোট বলে এত জানার চেষ্টা করছি। ভয় হচ্ছে, ভোটের দিন ঠিকভাবে ভোট দিতে পারব কি না। খবরে দেখলাম, ইভিএমে ভোট দিতে গেলে নাকি আঙুলের ছাপ মেলে না। আমারটা যদি না মিলে তাহলে তো প্রথম ভোট দিতে পারব না।’
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর (গন্ধমতি) এলাকার বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। মেশিনে ক্লিক করলেই ছবি চলে আসবে, জাল ভোটের কোনো সুযোগ নেই।’ নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকতলা এলাকার ভোটার সুমন মিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভোটের খবর টিভিতে দেখেছি। অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেন নাই। মেশিন নাকি স্লো হয়ে যায়। কুমিল্লাতেও যদি এমন হয়, তাহলে তো আমরা সবাই ভোট দিতে পারব না।’ সেই সঙ্গে বয়স্কদের জন্য আরও সমস্যা হবে বলেও মনে করেন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে না। এটা বড় একটা সমস্যা। ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে অনেকেই ভোট দিতে পারবেন না।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন ঘিরে এত উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝে মানুষের মনে ইভিএম নিয়ে এমন চাপা শঙ্কা দূর করতে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে আগেই ইভিএমের সঙ্গে ভোটারদের পরিচিত করে তুলছে নির্বাচন কমিশন। কীভাবে এই যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে, তা নিয়ে চালানো হচ্ছে প্রচার। ইভিএমে ভোট নিয়ে ভয়ভীতি দূর করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ভোটারদের যে শঙ্কা, তা দূর করার জন্য আগে থেকেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করা হচ্ছে। যাঁদের আঙুলের ছাপ মিলবে না, তার জন্য প্রিসাইডিং অফিসার তো আছেনই।
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ প্রত্যাশা করছে কুসিকের প্রার্থী ও ভোটাররা। তাই আমরা এ বিষয়ে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করি, এ ভোট হবে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।’ রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘কুসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় প্রশাসন সব দিক থেকে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আশা করি, ভোটের পরিবেশ ভালো থাকবে।’
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
রোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
৮ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
১১ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে