নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। দগ্ধ ও আহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আলাউদ্দীন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ১৫টি মরদেহ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে আনা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আর ডিপোতে কর্মরত অনেকে জানিয়েছেন, ৪০০ থেকে ৫০০ কনটেইনার পুড়ে গেছে।
ভোর ৫টার সময়েও ডিপোর কনটেইনারে আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের সদস্যরা আগুন নির্বাপণে তাঁদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে পানির সংকটে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এই সমস্যা তৈরি হয় ডিপোতে থাকা ট্রাকগুলো নিরাপদে সরাতে গিয়ে। আধপোড়া ও অক্ষত থাকা ট্রাকগুলো দ্রুত ডিপো থেকে বের হওয়ার সময় নির্বাপণকাজে ব্যবহৃত হোসপাইপের ওপর চাপ লেগে তা ফেট গিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সচল করা হলেও বারবার বাধার মুখে পড়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল পানি চলাচল।
ডিপোতে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিপোতে নিয়মিত সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কনটেইনার থাকে। বেশ কিছু কনটেইনারবাহী গাড়ি বের হলেও বেশির ভাগই সেখানে আটকে ছিল। কারণ চাইলেই কনটেইনার নিয়ে বের হতে পারে না ট্রাকগুলো। অনুমোদনের বিষয় থাকে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে অবস্থিত এই ডিপো নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে চালু হওয়া এই ডিপো দেশের অন্যতম বড় ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো-আইসিডি হিসেবে পরিচিত।
শনিবার রাত ৯টার লোড ইয়ার্ডে রাসায়নিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথম দিকে আগুনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও ডিপোর কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। ডিপোর কর্মীদের কেউ কেউ আগুনের দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাঁদের অনেকেই আগুনে তলিয়ে যান।
ডিপোতে লাগা আগুনে চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন রাশেদুল ইসলাম। ডিপোর আইসিডি-২ শাখায় কর্মরত তিনি। তাঁর অবশ্য রাতে ডিউটি ছিল না। আগুনের খবর পেয়ে পাশের কোয়ার্টার থেকে অন্যদের নিয়ে ছুটে আসেন রাশেদুলও। তিনি বলেন, ‘আগুনের দৃশ্য দেখছিলাম। এমন সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে হাতে থাকা মোবাইলটিও হারিয়ে যায়। আগুনের তাপে চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছি।’ পরে অন্য সহকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশেকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আহতদের বিভিন্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়া চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। দগ্ধ ও আহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আলাউদ্দীন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ১৫টি মরদেহ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে আনা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আর ডিপোতে কর্মরত অনেকে জানিয়েছেন, ৪০০ থেকে ৫০০ কনটেইনার পুড়ে গেছে।
ভোর ৫টার সময়েও ডিপোর কনটেইনারে আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের সদস্যরা আগুন নির্বাপণে তাঁদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে পানির সংকটে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এই সমস্যা তৈরি হয় ডিপোতে থাকা ট্রাকগুলো নিরাপদে সরাতে গিয়ে। আধপোড়া ও অক্ষত থাকা ট্রাকগুলো দ্রুত ডিপো থেকে বের হওয়ার সময় নির্বাপণকাজে ব্যবহৃত হোসপাইপের ওপর চাপ লেগে তা ফেট গিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সচল করা হলেও বারবার বাধার মুখে পড়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল পানি চলাচল।
ডিপোতে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিপোতে নিয়মিত সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কনটেইনার থাকে। বেশ কিছু কনটেইনারবাহী গাড়ি বের হলেও বেশির ভাগই সেখানে আটকে ছিল। কারণ চাইলেই কনটেইনার নিয়ে বের হতে পারে না ট্রাকগুলো। অনুমোদনের বিষয় থাকে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে অবস্থিত এই ডিপো নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে চালু হওয়া এই ডিপো দেশের অন্যতম বড় ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো-আইসিডি হিসেবে পরিচিত।
শনিবার রাত ৯টার লোড ইয়ার্ডে রাসায়নিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথম দিকে আগুনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও ডিপোর কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। ডিপোর কর্মীদের কেউ কেউ আগুনের দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাঁদের অনেকেই আগুনে তলিয়ে যান।
ডিপোতে লাগা আগুনে চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন রাশেদুল ইসলাম। ডিপোর আইসিডি-২ শাখায় কর্মরত তিনি। তাঁর অবশ্য রাতে ডিউটি ছিল না। আগুনের খবর পেয়ে পাশের কোয়ার্টার থেকে অন্যদের নিয়ে ছুটে আসেন রাশেদুলও। তিনি বলেন, ‘আগুনের দৃশ্য দেখছিলাম। এমন সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে হাতে থাকা মোবাইলটিও হারিয়ে যায়। আগুনের তাপে চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছি।’ পরে অন্য সহকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশেকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আহতদের বিভিন্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়া চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ মিনিট আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ৩৪ হাজার ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গা ভাইকে আটক করেছে বিজিবি।
৫ মিনিট আগেপাবনার ভাঙ্গুড়ায় নৈশপ্রহরী হত্যায় জড়িত সন্দেহে সাতটি পরিবারের ১০টি ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে দুই সপ্তাহ ধরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। খেয়ে না খেয়ে কাটছে তাদের দিন। এরই মধ্যে হত্যায় জড়িত দুই আসামি ও ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের মামলায় তিন আসামিকে..
১৩ মিনিট আগেএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৬ জুন থেকে। এবারের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও, কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার চট্টগ্রামে ৩০৭টি কলেজ থেকে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৮৬৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে গত বছর কলেজের সংখ্যা ছিল ২৮৭টি এবং পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬ হাজার
১৩ মিনিট আগে