Ajker Patrika

নিখোঁজের ৩ দিন পর চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
নিখোঁজের ৩ দিন পর চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নিখোঁজের ৩ দিন পর এক ব্যক্তির চোখ ওপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানা–পুলিশ উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে আলিক্ষ্যং মৌজার রাঙ্গাঝিরি গ্রামের শামছড়ির আগা এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। আজ বুধবার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মৃত ওই ব্যক্তির নাম শহীদুল ইসলাম। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। 

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোজিনা আক্তার নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ঈদগড় বড়বিলের আবদুর রশিদের মেয়ে। আজ বুধবার সকালে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বান্দরবান কোর্টে পাঠানো হয়েছে। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহতের শ্বশুর বাইশারীর ইউপি মেম্বার মোক্তার আহমদ জানান, শহিদুল তাঁর মেয়ের জামাই। তাঁদের বাড়ি রামু উপজেলার ঈদগড়ে। রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়কে শহিদুল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাত। শহীদুলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মাত্র ৪ মাস আগে। গত রোববার (১৭ এপ্রিল) ইফতারের পর শহিদুল রামু উপজেলার ঈদগড়ের চরপাড়া এলাকার একটি দোকানে অপেক্ষা করছিলেন ভাড়ার জন্য। এ সময় কে বা কারা মোটরসাইকেল ভাড়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায় তাঁকে। এরপর থেকে তাঁর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। সে কারণে গত ১৮ এপ্রিল সোমবার রামু থানায় একটি জিডি করে শহিদুলের পরিবার। 

মোক্তার আহমদ আরও জানান, এর পরদিন (মঙ্গলবার) দুপুরে খবর আসে তাঁর জামাতার মোটরসাইকেলটি রাঙ্গাঝিরির দিকে গিয়েছিল গত রোববার সন্ধ্যার পর। তাই তাঁরা সে দিকেই খুঁজতে যায় মঙ্গলবার দুপুরে। সে দিন বিকেলে শহিদুলের মোটরসাইকেলটির খোঁজ মিলে রাঙ্গাঝিরির জঙ্গলের পাশে। পরে সেখানে খোঁজাখুঁজির পর শহীদুলের মরদেহ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান। 

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঈদগড় মেডিকেল সেন্টারের রোজিনা আক্তার নামের এক এক নার্সকে আটক করে থানা–পুলিশ। শহিদুল হত্যাকাণ্ডে তাঁর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে জানার পর পুলিশ তাকে আটক করে। 

বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার হয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের রাঙ্গাঝিরির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে। 

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, মরদেহের শরীর পচে যাওয়ার কারণে গন্ধ বের হচ্ছিল। মরদেহের পিঠে ১০ টি, কোমরে ৬টি আঘাত। আর চোখ দুইটি উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত