মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
চাঁদপুরের নৌসীমানার মেঘনা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকায় অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি ও মশারি জাল দিয়ে ছোট প্রজাতির মাছ ধরছে। এতে এই অঞ্চলের দেশীয় বহু প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়ছে। শুধু জেলার অভ্যন্তরের নয়, পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার মৌসুমি জেলেরাও রাতে চাঁদপুর নৌসীমানায় এসে ছোট মাছ ধরে নিজ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। মৎস্য বিভাগ অভিযান চালালেও সুফল আসছে না।
এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছোট প্রজাতির মাছ ধরা সব সময় নিষিদ্ধ। আমাদের নদী উপকূলীয় উপজেলার কর্মকর্তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। সহযোগিতা করছে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ। অভিযান অব্যাহত থাকলে এসব জেলে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জলাশয় অর্থাৎ ডোবা, নালা, খাল, বিলে ২৬০ প্রজাতির দেশীয় মাছের মধ্যে ছোট মাছ রয়েছে ১৪৩ প্রজাতির। পরিণত বয়সে এসব মাছ ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। আর গত দুই থেকে তিন দশক আগেও চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে দেশীয় প্রজাতির যেসব মাছ পাওয়া যেত, তা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মশারি জাল কিংবা বেহুন্দি জালে ধরা হচ্ছে জাটকা ছাড়াও চিংড়ি, পাঙাশ, বেলে, পোয়া, সিলন, ঘাউড়া, সাদা চেও য়া, লাল চেওয়া, পুঁটি, ভেদা, গুইল্লা টেংরা, লাইট্টা টেংরা, কাজলি, বাতাসি, আইড়, ডেলা (সুন্দরী), রিঠা, বোয়াল, চাপিলা, কাঁচকি, চান্দা, তপসে, রানি, বুইত্তা, বাইম, নাউ বেলে, চিতল, কোরাল, বুতি বেলে, কুলি, মলা, ভাটা, কাইকাসহ বিভিন্ন মাছের পোনা। চাঁদপুর সদরের মেঘনাপারের বিষ্ণুপুর, কল্যাণপুর, তরপুরচণ্ডী আনন্দ বাজার, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা, আখনের হাট এলাকায় বেহুন্দি ও মশারি জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরতে বেশি দেখা গেছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে জেলেরা চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার, পূর্ব শ্রীরামদী, রঘুনাথপুর, নতুন বাজার, বড় স্টেশন, যমুনা রোড, মাদ্রাসা রোড, স্টেডিয়াম রোড, ট্রাক রোড, গুনরাজদী, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, বঙ্গবন্ধু সড়ক, তরপুরচণ্ডী, ওয়্যারলেস বাজার এলাকায় দিন ও রাতে প্রকাশ্যে এসব ছোট মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন সকাল হলেই বাড়িতে ছোট মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। তবে বেলে মাছের পোনা বলে বিক্রি করলেও অনেক প্রজাতির মাছ এর মধ্যে থাকে। প্রশাসন এসব জেলেকে নিয়ন্ত্রণ না করলে অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে।
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গঠিত চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মো. তছলিম ব্যাপারী বলেন, ‘শীত মৌসুম এলেই কিছু জেলে ছোট মাছ ধ্বংস করার জন্য নেমে পড়ে। এর মধ্যে জাটকা, পাঙাশ, চিংড়ি, পোয়া, চেওয়া মাছ বেশি ধরা হচ্ছে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থেকে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে কিছু জেলে এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে কিছু জেলে মতলব উত্তর এলাকায় প্রবেশ করেন। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাঁরা ছোট প্রজাতির মাছগুলো ধরে নিয়ে যান। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ বলেন, ‘হাইমচরের মেঘনা নদীতে বেশি ধরা হয় জাটকা। এসব জাটকা ধরার জন্য ব্যবহার করা হয় অবৈধ কারেন্ট জাল। কারেন্ট জাল ধরার জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে সদর ও মতলব উত্তর উপজেলার নদীতে বেহুন্দি জাল বেশি। সেখানে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীত মৌসুমে আমাদের অভিযান চলমান থাকে। নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ডকে নিয়ে যৌথ অভিযান করা হচ্ছে। চলমান বিশেষ কম্বিং অভিযানে ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি সদর এলাকার মেঘনা নদী থেকে ৭ লাখ ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি বেহুন্দি ও তিনটি মশারি জাল জব্দ করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় ৬৫ কেজি জাটকা। গত এক মাসে বহু বেহুন্দি জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।’
চাঁদপুরের নৌসীমানার মেঘনা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকায় অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি ও মশারি জাল দিয়ে ছোট প্রজাতির মাছ ধরছে। এতে এই অঞ্চলের দেশীয় বহু প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়ছে। শুধু জেলার অভ্যন্তরের নয়, পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার মৌসুমি জেলেরাও রাতে চাঁদপুর নৌসীমানায় এসে ছোট মাছ ধরে নিজ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। মৎস্য বিভাগ অভিযান চালালেও সুফল আসছে না।
এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছোট প্রজাতির মাছ ধরা সব সময় নিষিদ্ধ। আমাদের নদী উপকূলীয় উপজেলার কর্মকর্তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। সহযোগিতা করছে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ। অভিযান অব্যাহত থাকলে এসব জেলে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জলাশয় অর্থাৎ ডোবা, নালা, খাল, বিলে ২৬০ প্রজাতির দেশীয় মাছের মধ্যে ছোট মাছ রয়েছে ১৪৩ প্রজাতির। পরিণত বয়সে এসব মাছ ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। আর গত দুই থেকে তিন দশক আগেও চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে দেশীয় প্রজাতির যেসব মাছ পাওয়া যেত, তা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মশারি জাল কিংবা বেহুন্দি জালে ধরা হচ্ছে জাটকা ছাড়াও চিংড়ি, পাঙাশ, বেলে, পোয়া, সিলন, ঘাউড়া, সাদা চেও য়া, লাল চেওয়া, পুঁটি, ভেদা, গুইল্লা টেংরা, লাইট্টা টেংরা, কাজলি, বাতাসি, আইড়, ডেলা (সুন্দরী), রিঠা, বোয়াল, চাপিলা, কাঁচকি, চান্দা, তপসে, রানি, বুইত্তা, বাইম, নাউ বেলে, চিতল, কোরাল, বুতি বেলে, কুলি, মলা, ভাটা, কাইকাসহ বিভিন্ন মাছের পোনা। চাঁদপুর সদরের মেঘনাপারের বিষ্ণুপুর, কল্যাণপুর, তরপুরচণ্ডী আনন্দ বাজার, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা, আখনের হাট এলাকায় বেহুন্দি ও মশারি জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরতে বেশি দেখা গেছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে জেলেরা চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার, পূর্ব শ্রীরামদী, রঘুনাথপুর, নতুন বাজার, বড় স্টেশন, যমুনা রোড, মাদ্রাসা রোড, স্টেডিয়াম রোড, ট্রাক রোড, গুনরাজদী, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, বঙ্গবন্ধু সড়ক, তরপুরচণ্ডী, ওয়্যারলেস বাজার এলাকায় দিন ও রাতে প্রকাশ্যে এসব ছোট মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন সকাল হলেই বাড়িতে ছোট মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। তবে বেলে মাছের পোনা বলে বিক্রি করলেও অনেক প্রজাতির মাছ এর মধ্যে থাকে। প্রশাসন এসব জেলেকে নিয়ন্ত্রণ না করলে অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে।
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গঠিত চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মো. তছলিম ব্যাপারী বলেন, ‘শীত মৌসুম এলেই কিছু জেলে ছোট মাছ ধ্বংস করার জন্য নেমে পড়ে। এর মধ্যে জাটকা, পাঙাশ, চিংড়ি, পোয়া, চেওয়া মাছ বেশি ধরা হচ্ছে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থেকে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে কিছু জেলে এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে কিছু জেলে মতলব উত্তর এলাকায় প্রবেশ করেন। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাঁরা ছোট প্রজাতির মাছগুলো ধরে নিয়ে যান। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ বলেন, ‘হাইমচরের মেঘনা নদীতে বেশি ধরা হয় জাটকা। এসব জাটকা ধরার জন্য ব্যবহার করা হয় অবৈধ কারেন্ট জাল। কারেন্ট জাল ধরার জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে সদর ও মতলব উত্তর উপজেলার নদীতে বেহুন্দি জাল বেশি। সেখানে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীত মৌসুমে আমাদের অভিযান চলমান থাকে। নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ডকে নিয়ে যৌথ অভিযান করা হচ্ছে। চলমান বিশেষ কম্বিং অভিযানে ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি সদর এলাকার মেঘনা নদী থেকে ৭ লাখ ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি বেহুন্দি ও তিনটি মশারি জাল জব্দ করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় ৬৫ কেজি জাটকা। গত এক মাসে বহু বেহুন্দি জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪২ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে