আজকের পত্রিকা ডেস্ক
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেন তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
ফেনীতে চট্টগ্রাম-ঢাকা রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে পানি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে ধসে পড়েছে পাহাড়। ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হবিগঞ্জেও খোয়াই রেলসেতু ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রেলওয়ের কন্ট্রোল বিভাগ জানায়, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন তলিয়ে গেছে। কুমিল্লায় চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটের কয়েকটি স্থানেও পানি উঠেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পাহাড় ধস হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় ও পাহাড় ধসের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্যার কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
খোয়াই রেলসেতু ডুবে যাওয়ার শঙ্কা:
অপরদিকে হবিগঞ্জে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় খোয়াই রেলসেতু ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তা জানানো হয়।
মহাসড়কে পানি: এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। গতকাল ভোর থেকে এ যানজট শুরু হয়। তবে গতকাল বিকেলে এ খবর লেখার সময় মহাসড়ক থেকে পানি অনেকটা নেমে গেলে যানজট কমতে থাকে।
জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা ডুবে যায়। এতে যান চলাচলে ধীরগতির কারণে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়।
ভোরে যানজটে আটকে থাকা কাভার্ড ভ্যানের চালক এমদাদ মিয়া বলেন, ‘ভোর ৬টায় চৌদ্দগ্রামে যানজটে পড়ি। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা ধরে আটকে আছি।’
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যায়। বিকেলে সড়কে থেকে পানি সরতে শুরু করায় যানজট কমে যায়।
গোমতী বাঁধ মেরামতের চেষ্টা স্থানীয়দের: এদিকে কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুমিল্লা সদরসহ দেবিদ্বার ও বুড়িচং উপজেলার কিছু এলাকায় নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শত শত বাড়িঘর ডুবে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
কুমিল্লা সদরের কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদরের ইউএনও রোমেন শর্মা বলেন, জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ও হবিগঞ্জ প্রতিনিধি]
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেন তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
ফেনীতে চট্টগ্রাম-ঢাকা রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে পানি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে ধসে পড়েছে পাহাড়। ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হবিগঞ্জেও খোয়াই রেলসেতু ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রেলওয়ের কন্ট্রোল বিভাগ জানায়, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন তলিয়ে গেছে। কুমিল্লায় চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটের কয়েকটি স্থানেও পানি উঠেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পাহাড় ধস হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় ও পাহাড় ধসের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্যার কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
খোয়াই রেলসেতু ডুবে যাওয়ার শঙ্কা:
অপরদিকে হবিগঞ্জে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় খোয়াই রেলসেতু ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তা জানানো হয়।
মহাসড়কে পানি: এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। গতকাল ভোর থেকে এ যানজট শুরু হয়। তবে গতকাল বিকেলে এ খবর লেখার সময় মহাসড়ক থেকে পানি অনেকটা নেমে গেলে যানজট কমতে থাকে।
জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা ডুবে যায়। এতে যান চলাচলে ধীরগতির কারণে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়।
ভোরে যানজটে আটকে থাকা কাভার্ড ভ্যানের চালক এমদাদ মিয়া বলেন, ‘ভোর ৬টায় চৌদ্দগ্রামে যানজটে পড়ি। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা ধরে আটকে আছি।’
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যায়। বিকেলে সড়কে থেকে পানি সরতে শুরু করায় যানজট কমে যায়।
গোমতী বাঁধ মেরামতের চেষ্টা স্থানীয়দের: এদিকে কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুমিল্লা সদরসহ দেবিদ্বার ও বুড়িচং উপজেলার কিছু এলাকায় নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শত শত বাড়িঘর ডুবে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
কুমিল্লা সদরের কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদরের ইউএনও রোমেন শর্মা বলেন, জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ও হবিগঞ্জ প্রতিনিধি]
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৭ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩০ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৪১ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে